তিনি কখনো শিক্ষক, আবার কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কিংবা অবস্থা বুঝে বনে যেতেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। এসব পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। চাকরি দেওয়ার নামে নেন টাকা। এরপর কেটে পড়েন। এভাবে প্রতারণা করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম রিয়াদ বিন সেলিম (৩৫)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ের প্রলোভনে নিয়ে যাওয়ার পর ধরা পড়েন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নগরের বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয়ে রিয়াদ ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান বলেন, প্রতারক রিয়াজ নিজেকে কখনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, ইউএসটিসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আবার কখনো ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন। ব্লাড ডোনেটিং ক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় রিয়াদের। পরে তাঁদের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে রিয়াদ বিয়ের প্রলোভনে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তাঁর বাসায় নিয়ে যান। কিন্তু বিয়ে করেননি। ওই ছাত্রীর দুই বান্ধবীর কাছ থেকেও চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন। এদিকে নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে নগরের আকবর শাহ থানায় মামলা হয়। মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে প্রতারক রিয়াদের সম্পর্কে একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসে।