ঢাকায় কড়া নিরাপত্তায় বর্ষবরণ

Slider ঢাকা

d1bbd3f77b82a77504c47390cca95acf-5a499e35a45e4

 

 

 

 

নিরাপত্তা বড়ই কড়া। তাই গত বছরের মতো এবারও রাজধানীবাসীকে ঘরের ভেতরে থেকেই খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০১৮–কে স্বাগত জানাতে হলো। এবার ছাদের ওপর উৎসবেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। আর চার দেয়ালের ভেতরে উৎসব করলেও পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে গতকাল রোববার রাত ১২টার আগেই রাজধানীর সড়কগুলো ছিল তুলনামূলক ফাঁকা। আর উৎসব উদ্‌যাপনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গুলশান এলাকায় কেবল বিপুলসংখ্যক র‍্যাব-পুলিশ আর গণমাধ্যমকর্মীদেরই দেখা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় নগরে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো নিয়ে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

রাতের ঢাকা পাহারা দিতে মহানগর পুলিশ নামিয়েছে সোয়াট আর বোমা অপসারণকারী দলকেও। রাতের আকাশ থেকে সার্চলাইট ফেলে টহল দিতে দেখা গেছে র‍্যাবের হেলিকপ্টারকে। ছিল প্রচুর তল্লাশিচৌকি আর বাড়তি টহল। এরপরও রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে ঝলকে ওঠে প্রচুর আতশবাজি। প্রচুর ফানুসও উড়তে দেখা যায়।

গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ আটকে চলাচল কঠোর নিয়ন্ত্রিত করে পুলিশ। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় টিএসসি, শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায়। রাত সোয়া নয়টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ক্যাম্পাসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে যে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করে জনগণের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রাত আটটার দিকে গুলশান–২ নম্বর গোলচত্বরে র‍্যাব নতুন বছরের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে র‍্যাবের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, সারা রাত ধরে র‍্যাবের হেলিকপ্টার টহল দেবে। তবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ঝুঁকি কিংবা হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *