মোঃ জাহিদুল ইসলাম ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
“জনতাই পুলিশ, পুলিশেই জনতা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৩০ ডিসেম্বর শনিবার দিনের শেষে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলির বাজার নামক স্থানে ডিমলা থানা কমিউনিটি পুলিশিং কর্তৃক আয়োজিত জঙ্গী, মাদক বিরোধী মতবিনিময় সভা ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠান শেষে বন্যা দূগত এলাকায় শীতার্তদের মাঝে পুলিশ সুপার কর্তৃক কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মো: জাকির হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন, খালিশা চাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন, টেপাখড়িবাড়ী ইউপি সদস্য আলহাজ্ নজরুল ইসলাম, সামছুল হক, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নুল ইসলাম প্রমুখ।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “জনতাই পুলিশ, পুলিশেই জনতা” পুলিশ জনতা এক সঙ্গে কাঁদে কাঁদ মিলে কাজ করবে এজন্য জনগণকেই করা হয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির কার্য নির্বাহী পরিষদ। যাতে করে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা, সেবন, জঙ্গী, সন্ত্রসীবাদী, মৌলবাদী কর্মকান্ড ও বাল্য বিবাহ এলাকায় না হয়। শুধু প্রশাসন একা কাজ করলে হবে না, তার সাথে সাধারণ জনগণকেও সহযোগীতা করতে হবে তাহলেই সম্ভব কঠোর হস্তে দমন করা যাবে অপরাধ।
সভার প্রধান অতিথি তার বক্তেব্যে বলেন, আজকের ছোট-ছোট সোনামনিরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, এই দূর্গম এলাকা যখন একটি শিশু উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এ দেশের জন্য ভাল কিছু করবে তখনেই তার পিতা-মাতার মূখ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তাই সন্তানদের পিতা-মাতাসহ সকল নাগরীককে সচেতন হতে হবে সন্তানরা কখন কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, স্কুলের বন্ধুদের সাথে কি ধরনের সময় দিচ্ছে। সন্তানরা মাদকাশক্ত হচ্ছে না কি। জঙ্গী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে না কি এসব মাদক, জঙ্গী, সন্ত্রস বিরোধী সচেতনতা মূলক বিষদ আলোচনা করে বন্যা দূর্গত এলাকার শীতার্তদের মাঝে নিজ হাতে কম্বল বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।