শ্রীপুরে বই উৎসবের আগেই বই বিতরণ

Slider ঢাকা শিক্ষা

মানচিত্র

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বই উৎসবের ৫দিন আগেই বই বিতরণের অভিযোগ উঠেছে একটি স্কুলের বিরুদ্ধে। জাতীয় সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করেই গত বৃহস্পতিবার সকালেই শ্রীপুর পৌর ৮নং ওয়ার্ডের বেগুনবাড়ি এলাকায় ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

শনিবার সরেজমিন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয়। তারা জানিয়েছে গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকার গোল্ডেন টাচ্ মডেল স্কুল থেকে তাদের বই দেওয়া হয়েছে। বই প্রাপ্তদের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের অন্য বন্ধুদের কাছ থেকে বিতরণকরা বই গত শুক্রবার ফেরত নিয়ে গেছে স্কুলের শিক্ষকরা। তাদের বইও ফেরত নেওয়া হবে বলে তার বন্ধুদের কাছ থেকে তারা জেনেছে। তাদের কাছ থেকে বই ফেরত নেওয়ার জন্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে “বই ফেরত না দিলে পুলিশে ধরবে” এমন কথাও বলেছে বলে জানায় কয়েকজন শিক্ষার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের অন্তত ১৫-২০জন শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার বই হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখেছেন তিনি। সরকারের জাতীয় বই উৎসবের আগেই শিক্ষার্থীরা কিভাবে বই পেল তা নিয়ে তিনি সন্দিহান। তিনি আরও বলেন, এমন বিচ্ছিন্নভাবে বই বিতরণ করলে শিশুরা একটি উৎসব থেকে বাদ পড়বে।

অভিযুক্ত গোল্ডেন টাচ্ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ তার প্রতিষ্ঠান থেকে বই দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার আলমারিতে বই রেখে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কিভাবে শিক্ষার্থীরা বই পেল তা তিনি জানেন না।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন। ওই স্কুলে মোট বিতরণকৃত বই শনিবার দেখাতে না পারলে তাদের স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান সরকারিভাবে বই উৎসবের আগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ স¤পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর এমন নিয়ম ভঙে আমরা বিব্রত। অভিযুক্ত স্কুলের বিষয়ে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে শনিবার তদন্ত করে স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *