বাংলাদেশে পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ১০ লাখ টন ডিজেল রপ্তানির কথা ভাবছে প্রতিবেশী ভারত। এ ব্যাপারে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও ইতিমধ্যে শুরু করেছে দেশটি।
ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) আসামের নুমালিগড় রিফাইনারি বা তেল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে।
তেল মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নুমালিগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এখন সমীক্ষা চলছে। প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন নির্মাণে ১৫০ কোটি ভারতীয় রুপি ব্যয় হবে।
ভারত অবশ্য এখন নেপালে পেট্রোলিয়াম বা তেলজাত পণ্য রপ্তানি করছে।
পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য ছাড়াও দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্য দেশগুলো বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতেও বৃহত্তর সহযোগিতার অপেক্ষায় রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চায় ভারত। এরই অংশ হিসেবে অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে। ত্রিপুরা রাজ্যের পলানতলা প্রকল্প থেকে এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হবে।
ভারত বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত এনটিপিসির ভেমারা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট রপ্তানি করছে। ওপেন মার্কেট থেকে বাংলাদেশ আরও ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনছে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ২০১৬ সালের মধ্যে ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী এই তথ্য জানিয়েছেন।