১৯৭৫ সালের ৩০ এপ্রিল। ভিয়েতনাম যুদ্ধ প্রায় শেষের পথে। উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিষ্ট বাহিনী দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সায়গনের উপকন্ঠে পৌঁছে গেছে।
তিন দিক থেকে তারা ঘিরে রেখেছে পুরো নগরী। অবশিষ্ট মার্কিন সেনাদের সায়গন ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
ক্যাপ্টেন স্টু হেরিংটন এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন চল্লিশ বছর আগে ৩০ এপ্রিলের সেই দিনটির কথা।
“আমরা আর মাত্র ছয়জন সেখানে আছি। মেরিন সেনাদের বাদ দিয়ে যারা তখনো দূতাবাসের দেয়ালগুলো পাহারা দিচ্ছে। তারপর আমি একসময় দূতাবাস ভবনের ছাদের দিকে তাকালাম। দেখলাম একটা হেলিকপ্টার সেখান থেকে উড়ে যাচ্ছে। তখন আমি ভাবলাম, আমারও কি ঐ হেলিকপ্টারে পালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল?”
সায়গনের মার্কিন দূতাবাসে তখনো বহু মানুষ উদ্ধারের অপেক্ষায়। তাদের মধ্যে আছেন কয়েকশো দক্ষিণ ভিয়েতনামী, যারা মার্কিনিদের সহায়তা করেছে। কিন্তু এদের রেখেই নিজের পালানোর কথা ভাবতে হলো ক্যাপ্টেন স্টু হেরিংটনকে।
“ভিয়েতনামে যে আমরা কত জীবন অপচয় করেছি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে বাধ্য হয়ে ভিয়েতনাম ছেড়ে পালাতে হচ্ছে। সেই মূহুর্তে অবশ্য এসব ভাবনা আমার মাথায় কাজ করছিল না। কারণ তখন আমরা পালানোর আয়োজন নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। এসব ভাবনা ফিরে আসলো পরে। এই পুরো ভিয়েতনাম যুদ্ধের মানেটা কি দাঁড়ালো, কি ভীষণ ট্রাজিক এবং দুঃখজনক পুরো ব্যাপারটা, একেবারে শেষ মূহুর্তে সেই চিন্তা করছিলাম আমরা।”
ভিয়েতনাম যুদ্ধে উত্তরের কমিউনিষ্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনী যে পরাজিত হতে যাচ্ছে, সেটা এর কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই বুঝতে পারছিলেন, ক্যাপ্টেন স্টু হেরিংটন। কমিউনিষ্ট বাহিনী তখন সায়গনের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে। হাজার হাজার মানুষ পালাচ্ছে।
যদি সায়গনের পতন হয়, তাহলে মার্কিনীদের সহকর্মী ভিয়েতনামীদের ভাগ্যে কি ঘটবে, সেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন স্টু হেরিংটন। কারণ যেসব ভিয়েতনামী মার্কিনীদের সহায়তা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কমিউনিষ্টদের নির্মম প্রতিশোধের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।
সায়গনের মার্কিন দূতাবাসের কূটনীতিকরা তাদের প্রস্থানের যে পরিকল্পনা তৈরি করেছেন, সেখানে এই ভিয়েতনামীদের ব্যাপারে কি করা হবে, তার কোন উল্লেখ নেই। স্বাভাবিকভাবেই স্টু হেরিংটন এবং সেনাবাহিনীর অন্য কর্মকর্তারা এদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন :
“সেসময় ভিয়েতনামে আমাদের রাষ্ট্রদূত ছিলেন গ্রেয়াম মার্টিন। আর সবার মতো তিনিও কিন্ত তখন পর্যন্ত ঘটনার গুরুত্ব আর সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজন মোটেই বুঝতে পারছিলেন না বা বুঝলেও তা স্বীকার করতে চাইছিলেন না। ইভাকুয়েশন শব্দটা তখন কেউ ভুলেও উচ্চারণ করছে না। কারণ কূটনীতিকরা মনে করছিলেন, এরকম উদ্ধার অভিযানের কথা ভাবা মানেই হচ্ছে নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেয়া। এরকম চিন্তাকে মোটেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।”
“আমি তখন আমার অধিনায়ককে বললাম, আমাদেরকেই এখন একটা নাটকীয় কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।কারণ দূতাবাসের লোকজনের যে পরিকল্পনা, সেটার ওপর আমরা নির্ভর করতে পারি না। সায়গনে শেষ দশ-বারোদিন সময় আমাদেরকে বার বার নিয়ম ভেঙ্গে অনেক কিছু করতে হয়েছে। দূতাবাসের পেছন দিয়ে সবার অগোচরে কিভাবে দূতাবাসের ভিয়েতনামী কর্মীদের পাচার করা যায়, তার পথ খুঁজতে হয়েছে। কারণ আমরা মনে করেছি, এই ভিয়েতনামীদের প্রতি আমাদের একটা দায় আছে। দূতাবাসের যে পরিকল্পনা, সেখানে এই ভিয়েতনামীদের ব্যাপারে কি করা হবে, তার কোন উল্লেখই ছিল না। আমরা সেটা হতে দিতে পারি না। তাই আমরা নিজেদের মতো করে এই পদক্ষেপ নিলাম।”
সায়গন থেকে সবাইকে আকাশপথে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা, তার সাংকেতিক নাম দেয়া হয়েছিল অপারেশন ফ্রিকোয়েন্ট উইন্ড। পেন্টাগন থেকে শেষ পর্যন্ত এই সংকেত এলো ২৯ এপ্রিল বিকেলবেলা।
“দূতাবাসের গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকেই প্রথম যে বিষয়টা আমার চোখে পড়লো, তা হলো সেখানে প্রচুর লোক। পুরো কম্পাউন্ড জুড়ে, প্রত্যেকটি বিল্ডিং এ, প্রত্যেকটি অফিসে গিজ গিজ করছে মানুষ। প্রায় আড়াই হাজার মানুষ, এদের বেশিরভাগই ভিয়েতনামী।”
পুরো মার্কিন দূতাবাস কম্পাউন্ড জুড়ে তখন চরম বিশৃঙ্খলা। এর মধ্যে কিভাবে তারা উদ্ধার অভিযানের পরিকল্পনা করলেন?
“মার্কিন মেরিন বাহিনীকে অনেক চতুর কৌশল নিতে হয়েছে। গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে, গাড়ী পার্কিং এর জায়গাটাকে আমরা একটা ল্যান্ডিং জোনে রূপান্তরিত করেছি। ভিড় সামলানোর যত কায়দা-কৌশল, তার সবকিছু আমাদের অবলম্বন করতে হয়েছে। দূতাবাস কম্পাউন্ডের দেয়ালগুলো সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।”
মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস মিডওয়ে তখন ভিয়েতনামের উপকুলের দিকে ছুটছে। তবে এই জাহাজে তখন যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে বহন করা হচ্ছে অনেকগুলো হেলিকপ্টার। নৌবাহিনীর অফিসার ভার্ণ জাম্পার ছিলেন সেই জাহাজে।
“আমেরিকার বিমানবাহী জাহাজ ‘ইউএসএস মিডওয়ে’ থেকে যত হেলিকপ্টার উঠছিল আর নামছিল, সেগুলোর দায়িত্বে ছিলাম আমি। আমিই ছিলাম এই পুরো অপারেশনের কর্তা।”
সায়গন বিমানবন্দরের রানওয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা ছাড়া বিকল্প নেই।
“আমরা আমাদের এয়াফোর্স ক্রুদের বললাম, তারা কেবল দিনের বেলাতেই বিমান নিয়ে উড়তে পারবে। রাতে বিমান চালানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নিয়ম আমাদের ভাঙ্গতে হয়েছিল। সুর্যাস্তের পর সারারাত ধরে এসব বিমানে লোক আনা হয়েছে।”
“পার্কিং এরিয়াটা রাতে অন্ধকার থাকতো। তাই আমরা রাতে যেটা করতাম সেটার চারপাশে বৃত্তাকারে গাড়ীগুলো পার্ক করতাম। যখন হেলিকপ্টার সেখানে নামতে আসতো, তখন আমরা গাড়ীগুলোর হেডলাইট অন করে জায়গাটা আলোকিত করতাম। কিন্তু একটা পর্যায়ে গাড়ির তেল ফুরিয়ে গেল। তখন আমরা দূতাবাসের ছাদে একটা স্লাইড প্রজেক্টার বসিয়ে সেটা চালু করলাম। আপনি হয়তো জানেন, একটা স্লাইড প্রজেক্টারের মধ্যে স্লাইড না থাকলে, সেখান থেকে কিন্তু বিরাট একটা চৌকোনা আলো বিচ্ছুরিত হয়। আমরা হেলিকপ্টার অবতরণের জায়গাটা এভাবেই আলোকিত করলাম। আমাদের ক্ষুদ্র দলটাকে তখন এরকম বহু রকম অভিনব কৌশল নিতে হয়েছে।”
“এত বেশি হেলিকপ্টার যাওয়া আসা করছিল যে, আমরা সেগুলো নামতে দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছিলাম। একটা পর্যায়ে আমি গুনে দেখেছি, আমাদের জাহাজ ঘিরে উড়ছিল ২১টি হেলিকপ্টার। এরা সবাই জাহাজে অবতরণের জন্য জায়গা খুঁজছিল।”
এর সবগুলোই যে মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার তা নয়। মার্কিনীদের দক্ষিণ ভিয়েতনামী সহযোগীরাও যে তখন যে যা পারছে তাতে চড়ে চড়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএসমিডওয়ের দিকে ছুটছিল, এটা কি সত্যি?
“হ্যাঁ, এটা সত্যি। অনেক হেলিকপ্টারের জ্বালানি প্রায় ফুরিয়ে আসছিল। যদি এর মধ্যে কোন একটা জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে জাহাজের ডেকে বিধ্বস্ত হতো, তাহলে কিন্তু বহু লোক মারা যেতে পারতো। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি, একজন মানুষও মারা যায়নি। সেখানে অনেক ছোট বাচ্চা ছিল। এরা ফ্লাইট ডেকের ওপর দিয়ে ছোটাছুটি করছিল। কিন্তু তাদের সবাই অক্ষত ছিল। এটা আসলেই বিস্ময়কর এক ঘটনা।”
আকাশ পথে যখন হেলিকপ্টারগুলো উড়ে আসছে, তখন আরও হাজার হাজার মানুষ তীরে এসে ভিড় করেছে। এরা অনেকে জেলে নৌকায় চড়ে পর্যন্ত দক্ষিণ চীন সমূদ্রে নোঙ্গর করা মার্কিন যুদ্ধজাহাজের দিকে যাচ্ছে।
“হেলিকপ্টার কিন্তু ভীষণভাবে কাঁপে, এবং প্রচুর শব্দ তৈরি করে। যারা কোনদিন হেলিকপ্টারে চড়েন নি, তারা কিন্তু ভয় পাবেন। এই যে শত শত লোক হেলিকপ্টারে চড়ে আসছিল, তাদের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তারা কতটা বিচলিত। এরা নিজেদের দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে, কিন্তু তারা জানে না, তাদের সামনে কি আছে।”
ইউএসএস মিডওয়ে যখন এরকম পালিয়ে আসা মানুষে পরিপূর্ণ, তখন সেখানে হেলিকপ্টার অবতরণের মতো ফাঁকা জায়গা খুঁজে পাওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়লো। তখন জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে, এমন কিছু হেলিকপ্টার তাদের সমূদ্র ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
“অনেক হেলিকপ্টার আমাদের জাহাজ থেকে ঠেলে সমূদ্রে ফেলে দিতে হয়েছে। এর মধ্যে একটা ছিল চিনুক হেলিকপ্টার। যত হেলিকপ্টার আমরা সাগরে ফেলে দিয়েছিলাম, তার মূল্য হবে আনুমানিক সত্তুর লক্ষ ডলার।”
“না, আমাদের মনে কোনো দ্বিধা ছিল না। আমাদের যে কোন একটা এইচ ফিফটি থ্রী হেলিকপ্টারে গড়ে ৫০ জন লোক থাকে। আমরা তখন ভাবছি, একটা হেলিকপ্টারের মূল্য হচ্ছে ৫০টা মানুষের জীবন। কাজেই আমাদের কারও মনেই কোন দ্বিধা ছিল না।”
৩০শে এপ্রিল ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এক নতুন নির্দেশ এসে পৌঁছালো। মার্কিন মেরিন কমান্ডোদের বলা হলো, ভিয়েতনামী সহকর্মীদের উদ্ধারের চেষ্টা বাদ দিয়ে তাদের এখন প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে নিয়ে সায়গন ছাড়তে হবে। মার্কিন দূতাবাসে তখনো ৪২০ জন ভিয়েতনামী উদ্ধারের অপেক্ষায়। তখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্টু হেরিংটন সবাইকে ফেলে রওনা হলেন ছাদে অপেক্ষমান এক হেলিকপ্টারের দিকে :
“আমি একটা অজুহাত খুঁজে বের করলাম। আমি বললাম, আমাকে প্রস্রাব করতে যেতে হবে। আমি দূতাবাস ভবনের ভেতরে ঢুকে ছাদে উঠলাম। সেখানে একটি হেলিকপ্টার ছিল। সেই হেলিকপ্টারেও ৫০ জনের মতো ভিয়েতনামীর জায়গা হতে পারতো। কিন্তু ভোর সাড়ে পাঁচটায় এটি আকাশে উড়লো আমি সহ পাঁচজনকে নিয়ে। তখনো ৪২০ জন ভিয়েতনামী দূতাবাসে উদ্ধারের অপেক্ষায় আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক কূটনীতিকও সেখানে আছেন। এরা সবাই পার্কিং লটে অপেক্ষা করছে। কিন্তু তাদের রেখেই প্রায় শূন্য এক হেলিকপ্টারে আমরা সেখান থেকে চলে এলাম।”
সায়গনের ওপর দিয়ে যখন তাদের হেলিকপ্টার উড়ে যাচ্ছে, তখন স্টু হেরিংটনের কাছে তখন স্পষ্ট হয়ে গেছে, ভিয়েতনাম যুদ্ধে তাদের চরম পরাজয় ঘটেছে। যুদ্ধে তার বহু সহকর্মীকে হারিয়েছেন। এখন ভিয়েতনামী সহকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে তাদের পালাতে হচ্ছে। তার সেই মূহুর্তের অনুভূতি কেমন ছিল?
“আমার নিজেকে অসুস্থ মনে হচ্ছিল। আমার মন এতটাই বিক্ষিপ্ত ছিল যে, আমার ভীষণ খারাপ লাগছিল। এই লোকগুলোকে আমি কথা দিয়েছিলাম, তাদের সবার ব্যবস্থা করে তারপর আমি দূতাবাস ছাড়বো। সারারাত ধরে বহুবার আমি তাদের এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই কথা আমরা রাখিনি।”
ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঐ শেষ কয়েকদিনে সাত হাজারের বেশি মানুষকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয়েছিল সায়গন থেকে। সেদিন যারা এই উদ্ধার অভিযান চালিয়েছিলেন, তাদের বীরত্বগাঁথা কিন্তু ঢাকা পড়ে গেল মার্কিনীদের গ্লানিময় পরাজয়ের খবরের আড়ালে। সায়গনের মার্কিন দূতাবাস কম্পাউন্ড থেকে শেষ মার্কিন হেলিকপ্টার আকাশে উড়ার কয়েকঘন্টার মধ্যে সেটি দখল করে নিল কমিউনিষ্ট বাহিনী। সেদিনই কমিউনিষ্টরা সায়গনের নতুন নামকরণ করলো ‘হো চি মিন সিটি’।
“তাদের রেখেই আমরা সেখান থেকে চলে এলাম। ওদের দেয়া কথা আমি যে রাখতে পারিনি, সেটা ছিল খুবই বেদনাদায়ক। এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বিষাদময় ঘটনা।”
স্টু হেরিংটন এবং ভার্ণ জাম্পার, দুজনেই মার্কিন সামরিক বাহিনীতে সফল ক্যারিয়ার শেষে অবসর নিয়েছেন। ভার্ণ জাম্পার এখন সান ডিয়েগোতে ইউএসএস মিডওয়ে মিউজিয়ামে পর্যটকদের জন্য ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করেন।
(ইতিহাসের সাক্ষীর এই পর্বটি পরিবেশন করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন)