খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে দিনটি ভালোভাবে শুরু করা অনেকের কাছেই খুব কঠিন। আর এ কাজটি যদি হয় শীতকালে তাহলে তো তা অসম্ভব হয়ে ওঠে।
তবে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে এ কঠিন কাজটিও সহজ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য যা করবেন…
রাতেই পরিকল্পনা করুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যালার্ম সেট করে ঘুমিয়ে পড়লেই হলো না, এ জন্য আগে থেকে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা চাই। অন্যথায় সকালে আপনার বিড়ম্বনাই বাড়বে। রাতে যেসব পরিকল্পনা করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে সকালের প্রয়োজনীয় সব জিনিস হাতের কাছে গুছিয়ে রাখা। ঘুম থেকে কটায় উঠবেন এবং ওঠার পর কী খাবেন, কী পরবেন এসব ঠিক করে রাখুন।
আত্মবিশ্বাস তৈরি
সকালে আপনার ঘুমের কারণে সময় নষ্ট হবে না, এমন আত্মবিশ্বাস তৈরি করুন। আপনি যদি আগেই ভয় পান যে সকালে উঠতে পারবেন না, তাহলে আপনি আগেই পিছিয়ে যাবেন। তাই পরের দিনের কাজগুলো মনে মনে সাজিয়ে নিন এবং নিজেকে বলুন,‘এ কাজগুলো করা আমার পক্ষে সম্ভব। ’
আলো ও তাপমাত্রা
সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অনেকেরই প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় আলোর স্বল্পতায়।
তাই ঘুম ভাঙা মাত্র ঘরের আলো যেন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তার ব্যবস্থা করুন। জানালা-দরজা খুলে দিন, প্রয়োজনে উজ্জ্বল বাতি জ্বালান। এ ছাড়া কক্ষের তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে বিছানা থেকে ওঠা সহজ হবে।
বেডরুমে গ্যাজেট নয়
বেডরুমে অনেকেই বিভিন্ন প্রযুক্তিসামগ্রী ব্যবহার করেন। বেডরুমে টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদিতে বাড়তি উদ্বেগ ও মানসিক চাপ তৈরি হয়। তবে আপনি যদি ঘুমের ঘণ্টাখানেক আগে থেকে বেডরুমের এসব গ্যাজেট বন্ধ করে রাখেন, তাহলে এ বাড়তি চাপ দূর হবে। এ ছাড়া অনেকেরই রাতে ঘুম থেকে উঠে ঘড়ি দেখার অভ্যাস রয়েছে, যা ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সঠিক খাবার ও পানীয়
ঘুমানোর আগে সঠিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ করুন। আপনি যদি ঘুমানোর আগে চা-কফি কিংবা অ্যালকোহল পান করেন তাহলে তার ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে এবং সকালে ওঠা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিকেলের পর থেকেই আর ক্যাফেইন গ্রহণ করা যাবে না।
পর্যাপ্ত ঘুম
আপনি যদি গভীর রাতে ঘুমিয়ে আবার ভোরে উঠতে চান তাহলে তা বাস্তবসম্মত হবে না। এ ক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে, সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এরপর অধিকাংশ মানুষের এমনিতেই ঘুম ভেঙে যায়।