গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার আধুরিয়া শাহজালাল সিএনজি স্টেশনে উৎপল দাসকে উদ্ধার করে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম। তাঁকে উদ্ধারের খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে যান পরিবারের সদস্যরা।
সেখানে উৎপল দাস বলেন, ‘আমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় তিন-চার ঘণ্টা একটা গাড়িতে করে ঘোরানো শেষে এখানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। আমাকে এখানে নামিয়ে দেওয়ার সময় আমার চোখের বাঁধন খুলে দিয়ে তাঁরা বলেছেন—আমরা যখন গাড়ি টান দেবে তখন তুই চোখ খুলবি। আমি যখন সিএনজি স্টেশনে ঘোরাফেরা করছিলাম, তখন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম গিয়ে আমাকে সিএনজি স্টেশন থেকে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে আমার সাংবাদিক ভাইয়েরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।’
উৎপল আরও বলেন, ‘ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে দুপুরে আমাকে পেছন থেকে অপহরণ করা হয়। আমাকে তুলে নেওয়ার সময় কাউকে দেখতে পাইনি। পরে আমাকে একটি টিনশেড নরমাল একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে তিন বেলা দরজার নিচ থেকে নরমাল খাবার দেওয়া হতো। সেখানে চৌকি বা খাট ছিল না, ফ্লোরের মধ্যে থাকতে হয়েছিল। ওই ঘরে এটাচ বাথরুম ছিল। সেখানে গোসল করতাম।’ নির্যাতন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথম দিকে কিছু চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে। তারা আমাকে বলত, তোর অনেক টাকা। তুই টাকা দে। আমার মুঠোফোনটি যারা অপহরণ করেছে, তারাই নিয়ে নেয়। তারাই হয়তো ফোনটি অন করত, ওইটা দিয়ে কথা বলত।’ তাদের আচরণে কোনো পেশাদারির ছাপ ছিল কি না—জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে চলে যান।