ফুটবলকে বিদায় জানালেন ব্রাজিল সুপারস্টার কাকা

Slider খেলা

152351KaKa_kalerkantho_pic

 

 

 

 

ফুটবলকে বিদায় জানালেন ফুটবলের মহাশক্তিধর ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কাকা। খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেও সাবেক ক্লাব এসি মিলানের হয়ে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন এই তারকা।

সম্প্রতি ৩৫ বছর বয়সী কাকাকে ক্লাবের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে প্রস্তাব দিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলান।

২০০৭ সালের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী কাকা স্থানীয় টেলিভিশনে অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি ফুটবলেই থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। তবে এটা নিশ্চিত যে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আর আমি থাকছি না। এখন আমি ক্লাবের সাথে হয় ম্যানেজার, নতুবা স্পোর্টিং ডাইরেক্টর মোট কথা মাঠ ও মাঠের বাইরে সমন্বয় করতে চাই। ‘

এক টুইটার বার্তায় ২০০২ সালের ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী দলের অনতম গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য লিখেছেন, ‘বাবা হবার অনুভূতি সত্যিই আমি যা মনে করেছিলাম তার থেকেও অনেক বেশি কিছু। ধন্যবাদ, আমি এখন পরবর্তী যাত্রার জন্য তৈরী। ‘

সাও পাওলোতে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করার পর বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ইউরোপিয়ান ক্লাবের নজরে আসেন কাকা। ২০০৩ সালে প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে মিলানে যোগ দেন এই তারকা প্লে-মেকার। এই ক্লাবে থেকেই বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব ব্যালন ডি’অর জয় করেন।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির বাইরে সর্বশেষ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি এই পুরস্কার জিতেছিলেন।

২০০৩-০৪ মৌসুমে ইতালিয়ান সিরি-আ শিরোপা জয়ে মিলানের হয়ে তার ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে। এছাড়াও ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাও জয় করে মিলান। ঐ আসরে তিনি প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছিলেন।

অসাধারণ প্রতিভাবান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। ঐ সময় ৬৮ মিলিয়ন ইউরোতে (৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ৫৬ মিলিয়ন পাউন্ড) তার দলবদল ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল। তবে স্প্যানিশ লিগে নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন কাকা।

২০১১ সালে রিয়ালের হয়ে হোসে মরিনহোর অধীনে কোপা দেল রে জেতার পরের বছর লিগ শিরোপা জয় করেন। কিন্তু মাদ্রিদে ব্যর্থ হয়ে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রি ট্রান্সফার উইন্ডোতে আবারো মিলানে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ওরলান্ডো সিটিতে যোগ দেন। অক্টোবরে ওরলান্ডো ছাড়ার আগে উত্তর আমেরিকার হয়ে তিন বছরে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ছিলেন তিনি।

ব্রাজিলের হয়ে ৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে করেছেন ২৯ গোল। যদিও ২০১৪ সালের ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে উপেক্ষিত ছিলেন। গত বছর কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরেও ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি।
স্প্যানিশ লা লিগা কাকার প্রতি কতৃজ্ঞতা জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে ফুটবলের অন্যতম অসাধারণ এক প্রতিভা তার বুট তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *