খালেদা রাষ্ট্রদ্রোহিতা করছেন: নানক

রাজনীতি

image_108562_0দেশের আ্ইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এবং বিভিন্ন দেশের সংস্থার কাছে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা করছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।

নানক বলেন, “আমরা গভীর ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিএনপি ও জামায়াত জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া নিজের অতীত অপকর্ম, দুঃশাসন আড়াল করতে মাত্রাতিরিক্ত অসত্য, অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। একই সঙ্গে অশোভন এবং তথ্য বিকৃতির মধ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দূরভিসন্ধিমূলক তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।”
খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত দাবি করে তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন নাকি তার কাছে গিয়েছিলেন তাকে ক্ষমতায় বসানোর তকমা নিয়ে। এ থেকে বোঝা যায় বাংলার জনগণের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার কোনো ভরসা নেই। তার ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের ভোট লাগে না।”

তিনি বলেন, “খালেদা জিয়াকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের দিন শেষ। বাংলার জনগণের দিন শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। এখন আর ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনদের দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। বাংলার জনগণের আস্থা অর্জন করে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে পুনরায় মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের আমলের আশায় বুক বেঁধে থাকতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন উনার পক্ষে সম্ভব নয়।”ক্ষমতা হারিয়ে খালেদা উম্মাদনায় ভুগছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আইএসআই এর পেসক্রিপশন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি আর করা যাবে না। জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের পর পাকিস্তানের জেনারেল বেগ তার ওপর খুশি হয়ে যে চিঠি লিখেছিলেন সেটা আমাদের কাছে আছে।”

নানক বলেন, “বিশ্বজিৎকে হত্যাকারীরা কোন দলের সেটা বিবেচনা না করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত সাজা প্রদান করা হয়েছে। বেশির ভাগ আসামি জেলখানায় আছে। পালাতকদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বুয়েটের মেধাবী ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনিকে হত্যার পর কোনো মামলা হয়নি। বরং ছাত্রদলের সন্ত্রাসী মোকাম্মেল হায়াত মুকি ও শামসুদ্দিন টগর দু’জনকইে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। সেই খালেদার মুখে বিশ্বজিৎ হত্যার কথা মানায় না।”

তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া র্যা বের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। অথচ এই র্যা ব তৈরি করেছিলেন তিনি নিজেই। নিজের তৈরি জিনিসকে কলংকিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন যা বাংলার জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। র্যাবের যেসব সদস্য দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কোনো ব্যক্তির কারণে পুরোপুরি বাহিনীকে দোষারোপ করা যায় না।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *