বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন-২০১৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে এনজিও কার্যক্রমে নিবন্ধনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রমে কোনো এনজিও যুক্ত হলে তাদের সংশ্লিষ্ট আইনের আলোকে বিচার করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের একথা জানান।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশে এনজিও কার্যক্রম বেড়েছে। তারা যাতে আরও কাজ করতে পারে সে জন্য এ আইনটি করা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে নিবন্ধন ছাড়া কোনো এনজিও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।প্রকল্পের অনুমোদন ছাড়া তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এনজিওগুলোকে তাদের অনুদানের হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিটি এনজিও’র ‘মাদার অ্যাকাউন্ট’ থাকতে হবে। প্রত্যেকটি এনজিও তাদের সব কার্যক্রম সম্পর্কে বাৎসরিক একটি রিপোর্ট দেবে। এই রিপোর্ট এনজিও ব্যুরোতে দাখিল করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, এখন থেকে প্রতিটি এনজিওকে ১০ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে। সময় শেষ হলে তারা এটার নবায়ন করতে পারবে। তার জন্য তাদের ছয় মাস আগে দরখাস্ত করতে হবে। কোনো এনজিওতে বিদেশি কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিতে হবে। এনজিওগুলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজ করতে হলে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। প্রত্যেকটির একটি করে গঠনতন্ত্র থাকতে হবে এবং এ সমস্ত আইন লঙ্ঘন করলে সতর্ক, নিবন্ধন, বাতিল করতে পারবে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ২০১৫ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন মন্ত্রিসভা কিছু পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে তার অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার সংশোধনের আলোকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়াটি সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে এবং রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে তারপর ভাষণটি চূড়ান্ত হবে।