শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় নকল ধরার জেরে এক শিক্ষকের উপর হামলা করেছে ছাত্র।
রোববার বিকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকায় টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো.রতন মিয়ার ওপর হামলা চালায় একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ আলী জনি ও তাঁর মামা জাহিদুল ইসলাম আকাশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনি ও তাঁর মামা ওই শিক্ষকের বাসায় এসে হঠাৎ আচমকা হামলা চালায়। এসময় শিক্ষকের পড়নে থাকা টি-শাট ও লুঙ্গী ছিঁড়ে যায়। শিক্ষকের চিকিৎকার শুনে আশাপাশের লোকজন এসে তাঁদের ধরে একটি রুমে আটকে রাখে। এরপর খবর দেয়া হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.জসিম উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.পিওরকে। তাঁরা ওই ছাত্র ও তাঁর মামাকে বেতাঘাত করার নির্দেশ দিলে বেধম পেঠায় স্থানীয় দুই যুবক। এরপর ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো.শফিকুল ইসলাম মোড়ল এসে শিক্ষকের কাছে তাঁদের ক্ষমা চাইয়ে তাঁদের অভিবাকের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে ওই ছাত্রের সাথে বন্ধুত্ব থাকায় ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর আরেক ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিয়েছে ইউপি মেম্বার মো.পিওর। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চ্যালের সৃষ্টি এলাকায়।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৮ নভেম্বর সপ্তম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। এসময় সহকারি শিক্ষক মো.রতন মিয়া জনির হাতে কয়েকটি কাগজ পায়। পরে দেখতে পারে এগুলো গণিতের নকল। এ অপরাধের পরীক্ষা পর জনিকে তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যান। ওখানে তাকে অপমান করা হয়। এবং প্রধান শিক্ষক নির্দেশ দেন সে (জনি) যত দিন পরীক্ষা দিতে আসবে তাকে যেন তল্লাশী করে প্রবেশ করানো হয়।
টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জসিম উদ্দিনের মোঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো.পিওর জানান, ওরা অপরাধ করেছে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পরে শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে গেছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আকতার জানান, এ ধরণের কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।