মুখ খুললেন অপু, বললেন জয়ের জন্মের পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

155106opu

 

 

 

 

 

অবশেষে অপু বিশ্বাস মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গতকাল সারাদিন সাংবাদিকদের সাথে কথা না বললেও আজ তাকে ফোনে পাওয়া গেল।

বললেন ডিভোর্সের প্রসঙ্গ নিয়ে নানা কথা। জানালেন কেন শাকিবের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

অপু বলেন, জয়ের জন্ম নিয়েই শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সন্তানের জন্ম হোক তা শাকিব চায়নি। জয়ের জন্মের আগে শাকিবের আপত্তির মুখে তিনবার গর্ভপাত করাতে হয়েছে তাকে। শাকিবের কারণে আমি আমার নাম অপু ইসলাম খান বলে প্রকাশ করতে পারিনি।

২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শাকিব-অপুর জুটি গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।

কিন্তু সেসব তারা আড়ালেই রেখেছিলেন।

মাঝে মাঝেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর চাউর হচ্ছিল। কিন্তু সেসব ঠেকছিল এসে গুজবে। শেষ পর্যন্ত গুজবই বাস্তবে পরিণত হলো। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার এক বছর হতে না হতেই অপুকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠালেন শাকিব।

কারণ বিয়ের ব্যাপরটি ৮ বছর ও জয় গর্ভে আসার পর থেকে টিভি চ্যানেলে তা প্রকাশ করা পর্যন্ত দেড় বছর শাকিবের নির্দেশে বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি গোপন রাখতে হয়েছে। আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সব জায়গায় ‘অপু বিশ্বাস’ নাম রয়ে গেছে।

ডিভোর্সে উল্লেখিত অভিযোগ অনুযায়ী, অপু তার পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অপু শাকিবের পছন্দের সীমার মধ্যে থাকেননি। সম্প্রতি তাঁদের সন্তানকে গৃহপরিচারিকার কাছে রেখে দেশের বাইরে যান অপু। এ ব্যাপারে অপুর কাছ থেকে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব পাননি। শাকিব ধরে নিয়েছেন, অপু তাঁর সঙ্গে সংসার করতে চান না।

শাকিবের তালাকের নোটিশে বলা হয়েছে, ছেলেকে তালাবন্ধ করে রাখার খবর শুনেই অপুর বাসায় ছুটে যান তিনি। কিন্তু সন্তানকে উদ্ধার করতে না পেরে পরে থানায় জিডি করেন।

তবে অপু বিশ্বাস বিষয়টি অস্বীকার করে সে সময় গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি চিকিৎসা করাতে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ছেলে জয়কে কাজের মেয়ের কাছে নয়, বড় বোনের কাছে রেখে গিয়েছিলেন। সে সময় ছেলেকে ভারতে না নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানিয়েছিলেন, কলকাতার শীতের কারণেই ছেলেকে রেখে গিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *