স্ত্রীকে হত্যার পর বিষপান

Slider নারী ও শিশু বরিশাল

2253013_kalerkantho-2017--12-

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া ফরাজী গর্নাকে (২১) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। শহরের কাঠপট্টি সড়কে রবিবার বিকেলে গর্নাকে হত্যার পর তাঁর স্বামী বিষপান করেন।

স্বামী হিমু আকনকে (২৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে নিহতের বাবা আসলাম ফরাজী ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন। পুলিশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হিমুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় তিন বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতি ছাড়া শহরের কাঠপট্টি সড়কের মিল্টন আকনের ছেলে হিমু মেয়েটিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবার এই সম্পর্ক মানছিল না। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। রবিবার দুপুরে বাবার মুড়ির মিলের ওপরের একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে হিমু ঝগড়া করেন। একপর্যায়ে গর্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।

পরে তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালান। তাঁকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে স্বামী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।

মেয়ের মামা তরিকুল ইসলাম রাজু বলেন, ‘রবিবার বিকেলে হিমু আমাকে ফোন করে জানায়, সুমাইয়া অসুস্থ। তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি রাতে হাসপাতালে গিয়ে শুনি, ভাগ্নি মারা গেছে। ওর মৃত্যুর সঠিক কারণ আমরা জানতে চাই। ’

সুমাইয়ার বাবা আসলাম ফরাজী অভিযোগ করেন, ‘আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুমাইয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি দোষীদের বিচার দাবি করেন। ’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিউলি পারভীন বলেন, ‘মৃতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ’

ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের বাবা ঝালকাঠি থানায় মামলার পরপরই

আমরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে হিমুকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যা। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *