শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনলেন ইউএনও

Slider বরিশাল

3a2b4715f4cc89de6054a2cd448109f8-pirojpur

 

 

 

 

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় অষ্টম শ্রেণির এক পরীক্ষার্থীর (১৪) বাল্যবিয়ে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরিয়ে এনে তার বাবার হাতে তুলে দেন।

মেয়েটির সঙ্গে এক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠতা ছিল। ৭ নভেম্বর রাতে ওই ব্যক্তি মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে যান। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে থানার পুলিশকে জানান। পরদিন সকালে পুলিশ তাদের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সারা দিন দুজনকে থানায় আটকে রাখার পর গত বুধবার রাতে তাদের বড়মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার ও মেয়েটির বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই রাতে নাসির হোসেন হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে তাদের বিয়ে দেন। বিয়ের পর মেয়েটি শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়। এ কারণে মেয়েটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শনিবার মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।

বুধবার বিয়েতে উপস্থিত এক ব্যক্তি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার প্রথমে বিয়ে পড়ানোর জন্য স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) সিদ্দিকুর রহমানকে খবর দেন। সিদ্দিকুর রহমান বাল্যবিবাহ পড়াতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর বড়মাছুয়া বাজার মসজিদের ইমাম আবু সুফিয়ানকে ডেকে শুধু কলেমা পড়িয়ে বিয়ে দেওয়া হয়।

বড়মাছুয়া বাজার মসজিদের ইমাম আবু সুফিয়ান বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব বলায় তিনি বিয়ে পড়িয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার বলেন, মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান। নিরুপায় হয়ে তিনি বিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করেন।

জানতে চাইলে ইউএনও জি এম সরফরাজ বলেন, মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে বাল্যবিবাহের ব্যাপারে লিখিত জবাব দিতে বলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *