ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ বছরের কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা

Slider নারী ও শিশু রংপুর

IMG_20171108_074123_520

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চিলারং ইউনিয়নের আরাজী পাহাড়ভাঙ্গা এলাকায় বখাটে রবিউল ইসলামের বিয়ের প্রলোভনে ৭ম শ্রেনীর এক কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে ঐ কিশোরীকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ঐ কিশোরী সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নির্যাতিতা ঐ কিশোরীর মা জানান, রবিউল আরাজী পাহাড়ভাঙ্গা এলাকার খমির উদ্দিনের ছেলে। বখাটে রবিউল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে গত এক বছর যাবত।

গতকাল বিষয়টি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারলে ইউপি সদস্য নাসিরুলকে অবহিত করি। পরে ইউপি সদস্য বখাটে রবিউল ইসলামকে চৌকিদার দিয়ে ধরে নিয়ে আসে।

রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে ঐ পরিবারকে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। রাত গড়িয়ে বিষয়টি সুরাহা না হলে ইউপি সদস্য নাসিরুল  চৌকিদার সাইদুর রহমানের হেফাজতে একটি ঘরে রবিউলকে আটকে রাখে। ভুক্তভোগীর পরিবার সকালে উঠে দেখে চৌকিদার সাইদুর রহমান বখাটে রবিউল ইসলামকে ভাগিয়ে দিয়েছে।

নির্যাতিতা শিক্ষার্থী জানান, রবিউল বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয় না। উল্টো গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে নিরূপায় হয়ে আমার প্রতিবেশির মাধ্যমে আমার পরিবারকে জানাই।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নাসিরুল ইসলাম জানান, রবিউল কিশোরীকে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা স্বীকার করলে তাকে চৌকিদারের হেফাজতে একটি ঘরে রাখা হয়। সেখান থেকে কৌশলে সে পালিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন বাপ্পি, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) এটিএম শিফাতুল মাজদার খবর পেয়ে নির্যাতীতা কিশোরীকে দেখতে তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতালে ছুটে যান।

পুলিশ সুপার এ সময় দ্রুত বখাটে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন।

সে সময় কর্মরত ডাঃ নিশাত মর্তুজা আক্তার রূপা জানান, কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৭ম শ্রেনীর ওই অন্ত:সত্ত্বা কিশোরীর সার্বিক নিরাপত্তায় হাসপাতাল চত্ত্বরে দু’জন নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *