মান্নার প্রশ্ন; শামীম ওসমানকে পুলিশ কি ভয় পায়!

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা নারী ও শিশু বাংলার মুখোমুখি রাজনীতি সারাদেশ

_manna
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
নারায়নগঞ্জ: নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘটনার ১০ মিনিট পরে নূর হোসেনের কি কথা হয়েছিল সে বিষয়ে কেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না পুলিশ। শামীম ওসমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ কি ভয় পায়। আমার অবাক লাগছে ৭ খুনের ঘটনায় শামীম ওসমানকে কেন তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মান্না তার সংগঠন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি এস এম আকরামের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে যান এবং মনোনয়নপত্র জমা দেন এস এম আকরাম। পরে দু’জন যোগ দেন আইনজীবি সমিতির কর্মসূচিতে।

মানববন্ধনে মান্না বলেন, মানুষ যখন শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় আল্লাহ তখন তার নজীর দেখান। পেট কেটে ফুটো করে দিয়ে বস্তাভর্তি ইট রশি দিয়ে বেধেও খুনীরা লাশ ডুবিয়ে রাখতে পারেনি। এই নারায়ণগঞ্জে এর আগেও অনেক হত্যা হয়েছে। অনেক লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া গেছে। আবার অনেক লাশের কোন হদিস মেলেনি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে খুন গুমের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রথম জ্বলে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ।

শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। যত বড় নেতা হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। হাত যার যতই লম্বা হোক না কেন জনতার হাত তার চেয়েও লম্বা।

সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম বলেন, এক মাসেও খুনীদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২ মাসের মধ্যে খুনীদের গ্রেফতারের কথা বলেছেন কিন্তু আমার প্রশ্ন ২ মাস লাগবে কেন। যারা অপরাধী তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ৭ খুনের মূল রহস্য একটি জায়গায় থমকে গেছে। শামীম ওসমানের বিষয়টি যখন এসেছে তখন প্রশাসন স্থবির হয়ে পড়েছে। শামীম ওসমান যদি জড়িত থাকে তাহলে আমরা কেন তার গ্রেফতার দাবি করবো না। মন্ত্রীর পুত্র জড়িত থাকলে তার গ্রেফতার ও বিচার কেন চাইবো না। শামীম ওসমানকে বাচাঁতেই আইনজীবীদের আন্দোলনকে স্তিমিত করতে আইনজীবীদের একটি গ্রুপ দালাল হিসেবে আন্দোলন করছে। তারা একদিকে ৭ খুনের বিচার দাবি করছে অপরদিকে নূর হোসেনের স্ত্রী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলার মামলা পরিচালনা করছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেছেন, একটি পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ হত্যার বিচার নিয়ে কাঁদা ছুড়াছুড়ি করা হচ্ছে। তারা শামীম ওসমানকে ৭ খুনের মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। যা কোন দিন সফল হতে দিব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *