শেরপুর সদর উপজেলায় একটি মাদ্রাসার ছাত্রকে (৮) বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। ওই শিক্ষককে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার রাতে সদর থানা-পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ছাত্রটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই ছাত্র বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে শহরের চাপাতলী এলাকার দরিদ্র পরিবারের ওই শিশুকে তার অভিভাবক শহরের একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। সোমবার বিকেলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়ার পর মাদ্রাসার এক শিক্ষক ওই ছাত্রকে কৌশলে তাঁর থাকার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। এতে ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সে বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে ঘটনাটি জানায়। এলাকাবাসী ঘটনাটি জানার পর ওই শিক্ষককে আটক করে সদর থানা-পুলিশে সোপর্দ করেন।
থানা হেফাজতে থাকাকালে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই শিক্ষক বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তিনি দুটি মসজিদের ইমাম ও খতিব। সামাজিকভাবে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি বিশেষ মহল এমন অসত্য ঘটনা সাজিয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রটির বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৭৭ ধারায় মামলা করেছেন। ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।