আদালতে সিসিক মেয়র আরিফ ও কোতোয়ালী থানার ওসি

Slider সিলেট
ov
সিলেট প্রতিনিধি :: মেট্রোপলিটন আদালতের আদেশ পালনে ব্যর্থ হওয়ায়  সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গৌছুল হোসেন আদালতে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ তথা হকার নিয়ন্ত্রণকারীদের তালিকা দিতে পালনে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা প্রদান করছেন।
এর আগে গত রোববার (৮ অক্টোবর) চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার এ নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার নাটকীয়তার অবসান করতে গত ১৭ মে আদালতের কাছে আবেদন করেন সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হোসেন আহমদ। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ মে শুনানী শেষে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো জনস্বার্থে একটি আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে সাত দিনের মধ্যে ফুটপাত দখলমুক্ত করে এসব দখলের নেপথ্যে থাকা নিয়ন্ত্রকারীদের নামের তালিকা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ হয়ে মেয়র ৮ জুন আরো সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এক মাসের সময় দিয়ে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলেও ওই সময়ের মধ্যেও হকার নিয়ন্ত্রণকারীদের তালিকা তালিকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌছুল হোসেনকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো।
আদালত আদেশে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে এক মাসের সময় দেয়া হয়। কিন্তু তিনি পরবর্তী তিন মাসের মধ্যেও তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেননি। উল্লেখিত কারনে ও অবস্থায় কেন তিনি এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আদালতের আদেশ তামিল করে রিপোর্ট দাখিল করছেন না, সে বিষয়ে তাকে (মেয়র, সিলেট সিটি কর্পোরেশন) এবং কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ১৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করে তাকে পাওয়া যায় নি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, আদালতের নির্ধারিত সময়েই সকাল ১০টায় গিয়ে হাজিরো দিবো।
উল্লেখ্য সিলেট নগরীর ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের। কখনও ফুটপাত ছেড়ে হকাররা নেমে পড়ছেন রাস্তায়। ফুটপাতের দেয়ালে ‘পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত’ লেখা সাঁটানো থাকলেও ওই লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে সবকিছু।
নগরীর ফুটপাত হকারমুক্ত করতে বার বার অভিযান চালানোর পরও আগের সেই ফুটপাত দখলের চিত্রই ফুটে উঠে নগরবাসীর সামনে। এমনকি মেয়র আরিফের নেতৃত্বেই চলে হকার উচ্ছেদ অভিযান। তবুও অভিযানের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আবারও দখল হয়ে যায় ফুটপাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *