টিলারসন পদত্যাগ করছেন?

Slider সারাবিশ্ব

350caf758dbe8d11857ab06bc067a510-59d742077df33

 

 

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তালে ঠিক যেন তাল মেলাতে পারছেন না তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। প্রকাশ্যে টিলারসনের নীতির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। আবার টিলারসনও ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তবে কি এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে যাবেন আরেক প্রভাবশালী কর্মকর্তা?

সিএনবিসি, সিএনএনের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সম্পর্ককে আর স্বাভাবিক বলা যাচ্ছে না। দুজনের মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

টিলারসনকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না ট্রাম্প, তা কথাবার্তায় স্পষ্ট। এতে টিলারসন খুব বেশি স্বস্তিতে নেই। ইতিমধ্যে তাঁর পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি পেন্টাগনের এক সভায় ট্রাম্পের ওপর রেগে গিয়ে টিলারসন নাকি তাঁকে ‘হাবা’ বলে কটাক্ষ করেন। অবশ্য ওই সভায় ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন না। সেখানেই টিলারসন নাকি পদত্যাগ করার কথা বলেছিলেন। মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর টিলারসন অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পদত্যাগের খবর নাকচ করেছেন। তবে ট্রাম্পকে ‘হাবা’ বলেছেন কি না, বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন তিনি।

স্বভাবতই এমন অপমানজনক কথা (হাবা) বলায় ট্রাম্পের খেপে যাওয়ারই কথা। সিএনএন বলছে, ট্রাম্পের সঙ্গে টিলারসনের সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে। গত বুধবার পেন্টাগনে সভার আগেও টিলারসন একবার ট্রাম্পকে ‘হাবা’ বলেছিলেন। আর তা জানতেন ট্রাম্প। এ নিয়ে দুজন কোনো কথা বলেছেন কি না, তা পরিষ্কার নয়। কিছুদিন ধরেই টিলারসন ও ট্রাম্পের মধ্যে কী চলছে, তাঁদের কথাবার্তায় তা বোঝা যায়।

বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এসব কথা গুজব বলে উড়িয়ে দেন টিলারসন। তিনি দাবি করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্পকে তিনি ‘স্মার্ট’ ব্যক্তি বলেও অভিহিত করেন।

লাস ভেগাসের এক হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ট্রাম্পও দাবি করেছেন, টিলারসনের ওপর তাঁর পুরোপুরি আস্থা রয়েছে। তাঁকে টিলারসন ‘হাবা’ বলেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে যেসব খবর বেরিয়েছে, সেগুলো ভুয়া ও বানোয়াট।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, প্রকাশ্যে ‘হাবা’ বলে মন্তব্য করায় টিলারসনের ওপর চটেছিলেন ট্রাম্প। তবে তাঁকে সরে যেতে বলেননি। তবে টিলারসন আর ট্রাম্পের সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই। মাত্র আট মাসের মধ্যে আরেকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার ঝরে পড়ার উদ্বেগে রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, টিলারসন পদত্যাগের কোনো হুমকি দেননি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ও টিলারসনের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ এখন প্রকাশ্যে। ইরান, উত্তর কোরিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না ট্রাম্প। কাতার ইস্যুতে ট্রাম্প ও টিলারসনকে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে দেখছে বিশ্ব। উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে টিলারসনের নীতি নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন ‘রকেটম্যান’র সঙ্গে আলোচনা করে সময় নষ্ট করছেন টিলারসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *