বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?
আমাদের প্রেমের বিয়ে ছিল না। হুট করেই ২০১৫ সালের অক্টোবরে দুজন (রাফসান আহসান ও স্পর্শিয়া) মিলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। এক বছর একসঙ্গে ছিলাম। সংসার করেছি বা করার চেষ্টা করেছি। গত বছর নভেম্বরের দিকে মনে হচ্ছিল, না, আমরা আর একসঙ্গে থাকতে পারব না। তাই আমি রাফসানের কাছে ডিভোর্স চাই।
কেন?
কারণটা আমি আসলে বলতে চাইছি না। এখানে শুধু আমি একা হলে বলতাম। যেহেতু এ বিষয়টির সঙ্গে আরেকজন জড়িত, তাই বলা মোটেও ঠিক হবে না। আরেকজনকে নিয়ে জনসম্মুখে প্রশ্নের মুখোমুখি করাতে চাই না। ব্যাপারটি শেষ হয়ে গেছে। আমি চাই না, এটা নিয়ে এখন চুল টানাটানি হোক। অথবা আমার সঙ্গে রাফসানের দেখা হলে যাতে কুশল বিনিময় করতে পারি বা ওর দিকে কেউ আঙুল তুলে কথা বলুক—এসব আমি মোটেও চাই না। ও আমাকে সম্মান করে, আমিও তাঁকে সম্মান করি। এটা বজায় থাকুক। কারণ, টেনে এনে চুলোচুলি করতে চাই না।
সমস্যা মিটিয়ে ফেলার কোনো চেষ্টা করেছেন?
সমস্যাই অনেক। এসব কারণে আমাদের আলাদা হতে হয়েছে। আমরা দুজনই চেষ্টা করেছিলাম। রাফসান তাঁর জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। সবকিছুর পরে মনে হয়েছে, যেটা হয়তো পাঁচ বছর পরে ঘটবে, সেটা আগে হয়ে গেলেই ভালো; যা ওয়ার্ক আউট করছে না, সেটাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। সংসার তো এমন না যে পার্টিতে গেলাম, কয়েক ঘণ্টা থাকলাম, মন না চাইলেও অ্যাডজাস্ট করে নিলাম। সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, তা হচ্ছে বোঝাপড়া। যা-ই হোক, মানুষ তো সংসার ইচ্ছে করে ভাঙতে চায় না। আমি আসলে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত বছর থেকেই আলাদা থাকছি। মাঝেমধ্যে রাফসান আসত। আমাদের কথা হতো। আড্ডা দিতাম। কিন্তু আমরা এক ছাদের নিচে থাকতাম না। গত বছর তাঁকে আমিই বলেছি, ডিভোর্স চাই। কাগজপত্রের বিষয়টি এ বছর আগস্টে শেষ হয়।
কিন্তু এই বিবাহবিচ্ছেদে তৃতীয় একটা পক্ষের কথা বলা হচ্ছে।
রাফসান বলছে, তৃতীয় ব্যক্তি। ওর মতে, তৃতীয় ব্যক্তিটা আমার মা। আমাকে জিজ্ঞেস করা হলে বলব, বিচ্ছেদ কোনো অবস্থায় আমার মায়ের কারণে হয়নি। অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তির তো প্রশ্নই আসে না। আমাদের ওই জায়গায় কোনো সমস্যা হয়নি। যত দিন ছিলাম, নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু হয়েছে তা কিন্তু না। ও অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে বা আমি অন্য কোনো ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছি—তা কিন্তু নয়।
ইদানীং আপনাকে কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় নামের একজনের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।
ওহ আচ্ছা। কৃষ্ণেন্দু আমার খুব ভালো বন্ধু।
বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক?
আপাতত নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা বলতে পারি না। সম্পর্ক হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে। ভবিষ্যতে অনেক প্রেম করতে পারি। জীবন তো থেমে থাকতে পারে না। আমি একটি জিনিস শিখছি, জীবন কখনোই থেমে থাকে না, যদি আমি রাখতেও চাই।
কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে বন্ধুত্ব কত দিনের?
অনেক দিনের। তবে ঘনিষ্ঠ হয়েছি মাস দু-এক আগে।
জীবন নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন?
নাটকে অভিনয় তো ছেড়েই দিয়েছি। খুব ভালো কাজ না হলে নাটকে অভিনয় করব না। ভালো চরিত্র পেলে হয়তো করব। আমার এখনকার সম্পূর্ণ মনোযোগ সিনেমায়। আমি ইদানীং নিজেকে নিয়ে কিছু ভাবছিও।
কী ভাবছেন?
আমি সুখী হতে চাই। তারকা হতে চাই না। আমি ঘুরতে খুব পছন্দ করি। পৃথিবীটা ঘুরে দেখতে চাই। পৃথিবীর প্রতিটি কর্নার ঘুরে দেখব। কাজ করব, টাকা কামাব আর ঘুরে বেড়াব।