‘রোহিঙ্গাদের বাঙালি আখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে’

Slider সারাবিশ্ব
'রোহিঙ্গাদের বাঙালি আখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে'


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের বাঙালি আখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনুরোধ জানাব দয়া করে রোহিঙ্গাদের বাঙালি আখ্যা দেবেন না।

এ আখ্যা দিলে শুধু বাংলাদেশের ১৬ কোটি বাঙালি নয়, পৃথিবীর ৩০ কোটি বাঙালি সোচ্চার হবে।সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের সম্মিলিত বৌদ্ধ জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

অং সান সু চির যাচাই-বাছাই করে রোহিঙ্গা ফেরতের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যেসব রোহিঙ্গা এদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সবাইকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিতে হবে। যাচাই-বাছাইয়ের নামে কালক্ষেপণ, কিছু রোহিঙ্গা এদেশে রেখে যাওয়া আমরা মেনে নিতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, শুধু ফেরত নিয়ে গেলেও হবে না। মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ যেসব সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। আফ্রিকায় যেভাবে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগে সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি অন্য কোনো দেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে নয়। এটি শেখ হাসিনার সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। মিয়ানমার স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গারা ছিলেন। যুগ যুগ ধরে, বছরের পর বছর ধরে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১০ সালেও দুজন রোহিঙ্গা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *