রাতে ভালো ঘুমাতে হলে

Slider লাইফস্টাইল

37192cce987081951fbeb0a798ad73dd-59c3d7bbdc2ab

ঢাকা: রাতে ভালো ঘুম না হলে পুরো দিনটিই মাটি। অফিসের কাজে যেমন মনোযোগ থাকে না, তেমনি মন বসে না পাঠে। তাই সুস্থ থাকতে রাতে ভালোভাবে ঘুমানোর কোনো বিকল্প নেই। আসুন, জেনে নিই এমন কিছু নিয়মের কথা, যা আপনাকে রাতে ভালো ঘুমাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।

১. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের রোজ গড়ে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমের দরকার। কিন্তু অনেক সময় নানা কারণে এর চেয়ে কম ঘুমিয়েই পার করতে হয় দিনের পর দিন। প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুম আপনাকে ক্লান্ত করে দেবে। তাই রাতের বেলা ঘুমের এই ঘাটতি পূরণ করে নিতে হবে।

২. রাতে ভালো ঘুমাতে দিনের বেলা হালকা ব্যায়াম করলে সুফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে রাতে খাওয়ার আগে একপাক হেঁটে আসতে পারেন। তবে ঘুমানোর আগমুহূর্তে ব্যায়াম করতে যাবেন না। সন্ধ্যায় হালকা যোগব্যায়াম করতে পারেন। এতে শরীর ও মন দু-ই ঝরঝরে হবে।

৩. রাতের মেন্যুতে হালকা খাবার রাখুন। বেশি তেল-মসলায় রান্না করা খাবার খাবেন না। এতে করে বদহজম হয়ে ঘুমের বারোটা বাজতে পারে।

৪. রুটিনমাফিক নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। শুধু রাতে নয়, যদি দিনেও ঘুমাতে চান, সে ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব শারীরিক ঘড়ি আছে। ধরুন, সকালে ওঠার অভ্যাস যদি করেন, দেখবেন অ্যালার্ম না বাজলেও দিব্যি উঠে যাচ্ছেন। এভাবে নিজস্ব রুটিন যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘুমাতে হবে শান্ত পরিবেশে, কিছুটা অন্ধকার জায়গায়।

৫. নিজের নিয়মিত কাজগুলো আগেভাগেই সেরে ফেলতে হবে। যেমন—অফিসের কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় চুল না ছিঁড়ে, বরং আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখুন। সবশেষে ঠান্ডা মাথায় নির্ভার হয়ে শুতে যান। এতে ঘুম ভালো হবে।

৬. অনেকের দিনের বেলায় একটু গড়িয়ে নেওয়ার অভ্যাস আছে। দিনে ঘুমাতেই পারেন, তবে বেশি সময়ের জন্য নয়। বেশি ঘুমালে তা আবার রাতের ঘুম নষ্ট করতে পারে। দিনে অল্প সময়ের ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তবে আপনার যদি রাতে ঘুম না আসার রোগ থাকে, তবে এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৭. ক্যাফেইন ঘুম তাড়ায়। কোমল পানীয়, চা, কফি ও চকলেটে ক্যাফেইন থাকে। সাধারণত মানুষের দেহে ক্যাফেইন ঢুকলে, তা তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা কার্যকর থাকে। কিন্তু কিছু মানুষের দেহে এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। সুতরাং ক্যাফেইন থাকা খাবার বুঝেশুনে খেতে হবে।

যদি দেখেন এত কিছুর পরও রাতের ঘুম ঠিকমতো হচ্ছে না, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, অনেকের ঘুমজনিত রোগ থাকে। একে বলে স্লিপ ডিসঅর্ডার। এমন হলে একমাত্র চিকিৎসকই আপনাকে দেখাতে পারবেন মুক্তির পথ।

ওয়েবএমডি অবলম্বনে অর্ণব সান্যাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *