নেইমার-কাভানির বিবাদ আরো চরমে পৌঁছেছে। কাভানিকে বিক্রি করে দেয়ার জন্য প্যারিস সেইন্ট জাার্মেইকে (পিএসজি) নেইমার অনুরোধ করেছেন তা আগেই জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি বড় চিন্তায়। ক্লাবের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কোচ উনাই এমেরিকে নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু নেইমার নিজের সিদ্ধান্তে অটল বলে খবর দিয়েছে বৃটিশ মিডিয়া। নেইমারের কারণে এডিনসন কাভানিকে পিএসজি বিক্রি করতে বাধ্য হতে পারে মনে করছে ‘দ্য সান’। এমন কি তারা খবর দিয়েছে যে, ইতিমধ্যে ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় ক্লাব কাভানিকে দলে ভেড়ানোর জন্য গোপনে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ইংল্যান্ডের চেলসি ও এভারটন এবং স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ। ‘দ্য সান’ মনে করছে, কাভানি যদি পিএসজি ছাড়তে বাধ্য হন তাহলে রিয়ালেই যেতে পারেন। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। পিএসজি’র কর্মকর্তারা নেইমার ও কাভানির মধ্যকার বিবাদ মিটানোর জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেইমার ও কাভানির মধ্যে আসলে ‘ইগো’র লড়াই। গত মৌসুমের আগেও পিএসজিতে কাভানির সঙ্গে খেলতেন জালাতান ইবরাহিমোভিচ। তখন ক্লাবটির সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন ইবরা। কাভানি ছিলেন দুই নম্বরে। ২০১৬-১৭ মৌসুমে পিএসজি ছাড়েন ইবরা। যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। গত মৌসুমে পিএসজি’র আক্রমণভাবে নেতৃত্ব দেন কাভানি। যদিও তারা গত মৌসুমে ফরাসি লীগ ওয়ানের শিরোপা জিততে পারেনি। কিন্তু কাভানির মধ্যে ক্লাবটির এক নম্বর খেলোয়াড় হওয়ার চিন্তা নিশ্চয় ছিল। চলতি মৌসুমে সেটা হওয়ার প্রেরণা ছিল তারমধ্যে। কিন্তু এই মৌসুমে পিএসজি নেইমারকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থে দলে ভেড়ায়। নেইমালের মধ্যেও আবার এক নম্বর হওয়ার বাসনা। শুধু ‘মেইনম্যান’ হওয়ার জন্যই লিওনেল মেসির ছায়া থেকে বের হয়ে বার্সেলোনা ছেড়েছেন তিনি। কিন্তু পিএসজিতে যোগ দিয়ে দেখছেন ভিন্ন পরিস্থিতি। এখানে তার মতো কাভানিও ‘মেইনম্যান’ হতে চান। এতে দলের ফ্রি-কিক ও পেনাল্টি নিয়ে দু’জনের মধ্যকার চাপা লড়াইয়ের বিস্ফোরণ ঘটে অলিম্পিক লিঁও’র ম্যাচে। সেদিন ফ্রি-কিক ও পেনাল্টি নেয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে বল কাড়াকাড়ি পর্যন্ত হয়ে যায়। এখন দু’জনের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ