উখিয়ার বালুখালীর তেলিপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। সেখানে খালপাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা-তাঁবুতে ১০ সহস্রাধিক মানুষের বসবাস ছিল।
গত তিন দিনে বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে আশ্রয়শিবিরগুলো। কোথাও কোথাও হাঁটুপানি। এমন কিছু তাঁবু রয়েছে, যেগুলো গলাপানি ও কোমরপানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে তাদের পাওয়া ত্রাণসামগ্রীসহ তাঁবুর অন্যান্য জিনিসপত্র। মঙ্গলবার রাত থেকে অনেকেই এসে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ধারে। কেউ কেউ চলে গেছেন পাহাড়ের আরও গহিনে। এ চিত্র শুধু বালুখালীর তেলিপাড়ায় নয়, থাইংখালী, পালংখালীসহ পাহাড়ি সব ঢালুতে আশ্রয়শিবিরে নেমে এসেছে এই দুর্ভোগ। সবারই রান্নাবান্না বন্ধ। ত্রাণের জন্যও তারা ফের মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পুরোপুরি মানবিক বিপর্যয়ে এখন লক্ষাধিক শরণার্থী। গতকাল বেশ কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। কুতুপালং ও বালুখালী এলাকায় রাস্তার দুই ধারে দেখা গেছে, পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সব তাঁবু ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা গেছে। যাদের তাঁবু ভেঙে দেওয়া হয়েছে তারা গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন থাইংখালী ও পালংখালীর বেশ কিছু পাহাড়ে। নিধন করা হচ্ছে পাহাড় ও বন। অন্যদিকে বান্দরবানের ঘুমধুম এলাকায় পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের সরিয়ে কুতুপালং ও বালুখালীতে সরকারি বরাদ্দ করা জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই সেখানে না গিয়ে পালংখালী ও থাইংখালীতে রাস্তা-সংলগ্ন পাহাড়ে ফের তাঁবু গাড়ছেন। তেলিপাড়ার খালপাড় এলাকায় পাহাড়ি ঢলে বন্যার রূপ পেয়েছে। গতকাল সকালে গিয়ে দেখা যায়, তাঁবুগুলোতে কেউই অবশিষ্ট নেই। সবাই এখন নতুন আশ্রয়ের খোঁজে রাস্তায়। তাঁবু ছেড়ে রাস্তায় অবস্থান নেন মাহমুদ উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী। তিনি চার দিন হলো তেলিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। সঙ্গে ছিল স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ কয়েকটি পোঁটলা। মিয়ানমার থেকে আসা মাহমুদ উল্লাহ জানালেন, তাঁবুতে ওঠার পরও গত তিন রাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি তিনি ও তার পরিবার। কারণ হিসেবে এই শরণার্থী জানান, সেখানে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই দিনরাত বৃষ্টি ঝরছে। দুই দিন ধরে তাঁবুতে হাঁটুপানি। এরপর সেখানে থাকার কোনো অবস্থা ছিল না। তাই পরিবার নিয়ে অন্যত্র আশ্রয়ের জন্য বেরিয়েছেন। স্ত্রী উম্মে হাবিয়া জানালেন, দুই ও তিন বছরের দুই শিশু ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। মেডিকেল ক্যাম্পে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওষুধ দিয়েছেন।সৈয়দ উল্লাহ ও তার পরিবার তিন দিন ধরেই পালংখালীতে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। ত্রিপল থাকলেও কোথাও তাঁবু খাটাতে পারেননি। তার সঙ্গে দেখা যায় স্ত্রী হামদা বেগম ও পাঁচ মাসের শিশু রেহেনাকে। মিয়ানমারের বুসিদং থেকে অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে ১৯ দিনে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলেও কোথাও আশ্রয় মিলছে না তাদের। পালিয়ে আসার সময় তাদের বহরে ছিল পাঁচ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। পথিমধ্যে তারা কয়েক দফা আক্রমণের শিকারও হন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে সৈয়দ উল্লাহর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, দুপুরে আহার জুটলে পাহাড়ের কোথাও তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করবেন।
চলছে ভাঙা-গড়া : কুতুপালং ও বালুখালীতে রাস্তা-সংলগ্ন পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের সব তাঁবুই ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরপর তারা অন্যত্র গিয়ে তাঁবু গাড়ছেন। কেউবা গহিন বনে চলে যাচ্ছেন। এমনই এক পরিবার গহিন বনে গিয়ে আশ্রয় নিলে হাতির আক্রমণে শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা মারা যান। গতকালও বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী, পানবাজার, তুমব্রু, হাকিমপাড়া, বাঘগোনা, তানজিমার খোলাসহ বেশ কিছু পাহাড়ে নতুন করে তাঁবু নির্মাণ করেছেন রোহিঙ্গারা। থাইংখালী ও পালংখালী মহাসড়কের পাশে কয়েকটি পাহাড়ে দেখা যায়, গাছপালা ও গুল্ম সাফ করে পাহাড়গুলো ন্যাড়া করে ফেলা হয়েছে। কোদাল আর খুন্তি দিয়ে শতাধিক লোক চূড়া থেকে শুরু করে পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত মাটি খুঁড়ছেন। কেউ কেউ ত্রিপল বসাচ্ছেন। অনেকেই বাঁশ টানিয়ে জায়গা নিজের দখলে নিয়ে রাখছেন। পালংখালীতে কথা হয় হাবিবুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে। তিনি জানান, কুতুপালং ও বালুখালীতে ঘুরে কোথাও জায়গা না পেয়ে ওই পাহাড়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, এ জন্য তাকে কিছু টাকাও দিতে হয়েছে দালালদের। তার মতো সবাই স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে সরকারি জমিতে ৮-১০ ফুট তাঁবু খাটাচ্ছেন।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে কুতুপালং এসেছিলেন গুলবানুসহ আট সদস্যের পরিবার। কুতুপালংয়ে মহাসড়কের পাশে একটি পাহাড়ে দু-তিন দিন ভালোভাবেই থেকেছিলেন তিনি ও পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু গত পরশু পুলিশ এসে তাঁবু ভেঙে দেয় এবং সেখানে পাইপ দিয়ে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। তাই সেখান থেকে সপরিবার ছুটে যান নতুন তাঁবুর সন্ধানে। কোনো এক দালালের মাধ্যমে জানতে পারেন, থাইংখালী পাহাড়ে তাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁবু খাটাতে দালাল চান কিছু টাকাও। তাই হাত পেতে পাওয়া ২ হাজার টাকাও গুলবানু দিয়ে দেন দালালকে। বিনিময়ে থাইংখালীতে গাড়েন তাঁবু। তবে বন বিভাগসহ পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, সরকার নির্ধারিত দুই স্থানেই ২ হাজার একর জমিতে তাঁবু নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো কুতুপালং ও বালুখালী। এর বাইরে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেখানেই তাঁবু খাটান না কেন, তা ভেঙে ফেলা হবে। তাদের সরে আসতে হবে সরকার-নির্ধারিত স্থানে। কোনো দালালকে টাকা দিয়ে থাকলে তাও কাজে আসবে না।
ঘুমধুম থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের : বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড় ও বনভূমিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দুই দিন ধরে উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে কুতুপালং ও বালুখালীতে সরকার নির্ধারিত স্থানে তাঁবু গাড়তেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঘুমধুম পাহাড়পাড়া, তুমব্রু, চাকঢালা, আশারতলী ছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অন্তত পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা তাঁবু গেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ও ত্রাণে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় মাইকিংও করা হচ্ছে।
ত্রাণের জন্য আবারও রাস্তায় শরণার্থীরা : গতকালও ত্রাণের জন্য শরণার্থীদের রাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠন ছাড়াও ব্যক্তি-উদ্যোক্তারা ত্রাণ বিতরণ কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। দলের প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রোহিঙ্গাদের সামগ্রিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এ নিয়ে দিকনির্দেশনাও দিচ্ছেন তারা। ঢাকা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা এ নিয়ে বৈঠক করে দলের কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে গতকালও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন অর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা লুত্ফর রহমান কাজল, জেলা সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, বিএনপি নেতা ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, মনিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মেসবাহউদ্দিন রাজু, ছাত্রনেতা শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। পালংখালী ও বালুখালীতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল ও জরুরি ওষুধপত্র বিতরণ করে মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এ সময় মো. শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ নিয়ে কোনো রাজনীতি নয়। বিএনপি সব সময় মানবিক বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। অতীতেও আমরা আর্তমানবতার পাশে দাঁড়িয়েছি। এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। তবে যারা বিএনপির ত্রাণে বাধা দিয়েছে, তারাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করছে। ’ সম্প্রতি মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি ত্রাণ কমিটি কক্সবাজারে আসে। তবে দলটির পক্ষ থেকে ২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য স্থানীয় নেতারা কৌশলে ওই সব ত্রাণ বিতরণ করেন। তার সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, শরিফুল আলম প্রমুখ। এরপর আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীসহ একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা। তাদের কেউ কেউ এখনো কক্সবাজারে অবস্থান নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—ড্যাবের পক্ষ থেকেও বেশ কয়েকটি মেডিকেল টিম নিরলস চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে শরণার্থীদের। যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে একটি ত্রাণ কমিটি মাঠে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকেও কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আবারও ত্রাণ বিতরণ কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। এদিকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ত্রাণ বিতরণ কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। আজও জাতীয় পার্টির আরও একটি টিম আসবে বলে জানা গেছে। গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে জুনাইদ সাকি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও ত্রাণ কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে।
ত্রাণের পেছনে ছুটতে গিয়ে গাড়ি চাপায় রক্তাক্ত শিশু ফুবাইব : ছোট্ট রোহিঙ্গা শিশু ফুবাইব। বয়স চার থেকে পাঁচ। হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী যখন ত্রাণের জন্য বালুখালী সড়কে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন, তখন মা নূরখিস বেগমের সঙ্গে এই ছোট্ট শিশুটিও দৌড়াচ্ছিল। এক পর্যায়ে সে রাস্তার মাঝপথে চলে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ত্রাণের ট্রাক চলে যায়। সবাই যার যার মতো করে রাস্তার ধারে অবস্থান নেন। এ সময় মা ৭ বছরের মেয়ে বুশরা জান্নাতকে নিয়ে কিছু পুরনো কাপড় সংগ্রহ করতে থাকেন। ঠিক তখনই ব্যাটারি চালিত টমটমের নিচে পড়ে যায় ফুবাইব। তার মাথা আটকে যায় চাকার নিচে। কিন্তু টমটম ওভাবেই ওকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে চলতে থাকে। এভাবে চলে যায় অন্তত ১০ গজ। তখন খেয়াল হয় মায়ের। ছেলে কোথায়? এক পর্যায়ে মা নূরখিস চিৎকার শুনতে পান। টমটমের দিকে তাকাতেই দেখেন রক্তাক্ত ছেলেকে। তখন দৌড়ে আসেন ফুবাইবের দাদী ফুফুসহ আরও অনেকে। শিশুকে চাকার নিচ থেকে বের করতে কয়েক মিনিট লেগে যায়। অনেক কষ্টে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আশপাশের কিছু লোকের আর্থিক সহায়তায় ফুবাইবকে একটি মেডিকেল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।