ইমরুলকে অভয় দিচ্ছেন হাথুরুসিংহে

Slider জাতীয়

 

8c11bd0d85afadcd22e8bd78aeb0d914-59b930490963a

 

 

 

 

 

 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজটা মনে রাখার মতো অনেক কিছুই করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে ইমরুল কায়েস হয়তো ভুলে থাকতে চাইবেন সিরিজটা। দুই টেস্টে চার ইনিংসে তাঁর রান ২১। সিরিজটা বাজে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

সিরিজটা বাজে যাওয়ার পরও যে কোচের সুদৃষ্টিতে আছেন, এটি ইমরুলের কাছে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবেই কাজ করছে, ‘কোচ বলেছেন, অসুবিধা নেই। একটা ব্যাটসম্যান চার ইনিংস খারাপ করলেই তাকে বাদ দিতে পারি না। আরও বলেছেন, গত দু-তিন বছর ধারাবাহিক রান করেছ। একটি খেলোয়াড় দুই টেস্টে খারাপ করলে তাকে বাদ দেওয়া যায় না। তুমি খেলো। অসুবিধা নেই।’
গত দুই বছর টেস্টে ইমরুলের পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ নয়। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৫০ রান। ফিফটি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টে। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করা তাঁর ৭৮ রান দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
এ বছরটা যদিও খারাপ যাচ্ছে ইমরুলের। জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন টেস্টে চোটে পড়েছিলেন। ইমরুল মনে করেন, চোটে না পড়লে তাঁর পারফরম্যান্স আরও ভালো হতো, ‘নিউজিল্যান্ডে চোটে পড়ার পর শ্রীলঙ্কায় গিয়ে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারিনি। সব মিলিয়ে নিজেকে দুর্ভাগা বলব। যেভাবে ছন্দে ছিলাম, চোটে না পড়লে পারফরম্যান্সটা আরও ভালো হতো। আমি এখন যেভাবে খেলছি, এভাবে খেলাটা আসলে কঠিন। নিজেও জানি, একটা সিরিজ খারাপ করলেই আমার জন্য অনেক চাপ। চেষ্টা করি প্রতিটি সিরিজে রান করার। কখনো সফল হই, কখনো হই না। যে কদিন খেলব চেষ্টা করব প্রতিটিতেই ভালো করার।’
সেই ভালো করার সুযোগ ইমরুল পেতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। সিরিজটা তাই চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, ‘আমার জন্য সিরিজটা অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে নিজেও জানি। সর্বশেষ সিরিজটা যেহেতু ভালো খেলিনি। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, প্রতিটি সিরিজই আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়। মানিয়ে নিয়ে চেষ্টা করব ভালো খেলার। ওভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *