কক্সবাজারেরর টেকনাফের নাফ নদী থেকে শিশুসহ ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইলপাড়া নাফ নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুলে নিয়ে আসেন বলে জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া। এদের মধ্যে ৪ শিশূু ও ১ নারীর মৃতদেহ রয়েছে। তারা মিয়ানমার থেকে নদী সাঁতরিয়ে আসার সময় পানিতে ডুবে যায়।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান শাহপরীর দ্বীপের মাঝের পাড়ায় ৩ শিশু ২ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। অন্যদিকে ভোরে বাহারছড়া থেকেও ১ শিশু উদ্ধার হয়েছে বলে জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজ উদ্দিন।
সাবরাং এর স্থানীয় ইউপি মেম্বার ফজলুল হক জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা থেকে কিছু লোক সাঁতরে তীরে ফিরে আসে। তাদের কাছ থেকে জানা যায় নৌকাটি ডুবে যায় এবং আরো কয়েকটি নৌকা সাগরের মোহনা পয়েন্টে ডুবে গেছে। অনেক মৃতদেহ সাগরে ভাসতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন বুধবার ভোরে টেকনাফের লম্বরীপাড়া, মৌলভী বাজার, শাহপরীর দ্বীপ ও হ্নীলা থেকে ৪ শিশু ও ২ নারীর মরদেহ নাফ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ১৮ জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক নির্বাহী।