রোহিঙ্গাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রদানের বিকল্প নেই : জাতিসংঘ মহাসচিব

Slider সারাবিশ্ব
রোহিঙ্গাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রদানের বিকল্প নেই : জাতিসংঘ মহাসচিব
অবশেষে জাতিসংঘ স্বীকার করলো মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক রাখাইনে মুসলমানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত হামলার কথা। এ অবস্থায় রাখাইন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যে স্বীকৃত জাতীয়তা অথবা বৈধভাবে বসবাসের সাংবিধানিক অধিকার প্রদানের বিকল্প নেই বলেও জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তনিয়ো গুটিরেজ গভীর উদ্বেগের সাথে মন্তব্য করেন।

৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব উদ্বিগ্ন চিত্তে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, মানবতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা প্রতি মুহূর্তে মিয়ানমার সৈন্যদের বর্বরোচিত আচরণের সংবাদ পাচ্ছি। এ অবস্থার অবসান না ঘটলে এ অঞ্চলের উগ্রপন্থিরা আরো আস্কারা পাবে। ’
আরকানের রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির লাগাতার বর্বরতার তথ্য সবিস্তারে উল্লেখ করে জাতিসংঘ সিকিউরিটি কাউন্সিলে চিঠি দিয়েছেন মহাসচিব। সে পত্রে তিনি এহেন সহিংসতা বন্ধে যতদ্রুত সম্ভব কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশও করেছেন বলে মহাসচিব সাংবাদিকদের কাছে উল্লেখ করেছেন। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতি ব্যাহত হবে এবং রাখাইন রাজ্যের অধিবাসীরা ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেবে বঞ্চিত হতেই থাকবে-বলেন মহাসচিব।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে মহাসচিব বলেছেন, ‘সভ্যতার পরিপন্থি এহেন পরিস্থিতির আরো অনতি ঘটার আগেই সকলকে সোচ্চার হওয়া জরুরী। ’ তিনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহবান জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে। ‘একইসাথে চলমান সংকটের মূল কারণ উদঘাটনের পর তার স্থায়ী অবসানের জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত’ বলেছেন গুটিরেজ।
এটি খুবই জরুরী ব্যাপার যে, রাখাইন অঙ্গরাজ্যের মুসলমানদের স্বকীয়তার স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্তত:পক্ষে এক্ষুনি তাদের আইনগত অধিকার প্রদান করতে হবে, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরতে পারেন। সাথে সাথে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্যে আন্দোলন করার অধিকারও দিতে হবে। মিয়ানমারের শ্রমবাজারেও তাদের অধিকার সংহত করতে হবে। একইসাথে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও চিকিৎসা-ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *