অভিনয়ের দিক দিয়ে তিনি কখনই মন্দ করতেন না। তবে এক ‘কাহানি’ এসে বদলে দিয়েছে ইতিবৃত্ত।
জুনিয়র বা সহ-অভিনেতা থেকে আজ তিনি বলিউডের মসনদে। একজন অভিনেতা হিসেবে নওয়াজউদ্দিন যেন নিজেকে ক্রমাগত এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। তা যেমন সমালোচকদের প্রশংসায়, তেমনই পারিশ্রমিকের দিক থেকেও। সম্প্রতি এ ব্যাপারে মুখ খুললেন নওয়াজ নিজেই।
এক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নওয়াজ জানিয়েছেন, অভিনেতা হিসেবে বলিউডে এই মুহূর্তে তিনিই সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। তিনি অন্তত এমনটাই মনে করেন। নায়কদের চেকে লেখা পারিশ্রমিকের থেকে চরিত্রাভিনেতাদের পারিশ্রমিকে অনেকটা ফারাক। সেই দূরত্ব মিটিয়ে অভিনেতা হিসেবে পারিশ্রমিকের অংক নওয়াজ এখন অনেকটাই ওপরে। অন্তত এমনটাই দাবি তার নিজের।
তিনি জানান, তিনি প্রযোজকদের থেকে টাকা দাবি করেন না। বা পারিশ্রমিকের কোনও অঙ্ক বেঁধেও দেন না। বরং উলটে প্রযোজকরাই তাকে বেশি পারিশ্রমিক দিতে রাজি হয়েছেন।
আসলে তাদের রাজি হওয়াটাই সঙ্গত। তাবড় নায়করাও জানেন পর্দার বিপরীতে নওয়াজ থাকা মানেই অভিনয়ের রেখাচিত্র বেশ উপরের দিকেই থাকা। শাহরুখ বা সালমান যেই থাকুক না বিপরীতে, নওয়াজ ঠিক দর্শকদের মনোযোগ কেড়ে নেন। তাতে মূলত লাভ হয় প্রযোজকদেরই। সুতরাং বলিউডের অঙ্কটা বেশ সহজ। যিনি প্রযোজককে লাভের মুখ দেখান, তার টাকার ক্ষেত্রেও কোনও কমতি থাকে না। নওয়াজের ক্ষেত্রে অন্তত এমনটাই হয়েছে।
নিজের অভিনীত ছবি নিয়ে কোনওরকম হীনমন্যতা নেই নওয়াজের। জানাচ্ছেন, অনেকেই হলিউডে গিয়ে কাজ করতে চান। কেউবা অন্য দেশের সিনেমা দেখে হীনমন্যতায় ভোগেন। কিন্তু তাঁর মতে, এই মুহূর্তে বলিউডে অন্তত যেরকম বিষয় নিয়ে কাজ হচ্ছে, তাতে গর্ব হওয়াটাই স্বাভাবিক। সামনেই মুক্তি তাঁর বাবুমশাই বন্দুকবাজ-এর। ছবির বোল্ড দৃশ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট হইচই। সেন্সরের আপত্তি ও শেষমেশ পহেলাজ নিহালানির অপসারণ। সব মিলিয়ে প্রচারের আলো না চাইতেও যেন যথেষ্ট এসে পড়েছে ছবির উপর। বাকি কথা অবশ্য পারফরম্যান্সই বলবে।