৪০ হাজার বছর আগের ম্যামোথ আবিষ্কার আর কিছু তথ্য

Slider বিচিত্র

৪০ হাজার বছর আগের ম্যামোথ আবিষ্কার আর কিছু তথ্যলোমে পরিপূর্ণ বিশাল আকৃতির ম্যামোথের অস্তিত্ব ছিলো সাড়ে চার হাজার বছর আগে। এ নিয়ে অনেকের আবার সন্দেহও রয়েছে যে, এটি কাল্পনিক প্রাণী। তবে বরফ আচ্ছাদিত অবস্থায় এদের হাড়, ত্বকের কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া গেছে। লোমশ এবং বিলাল মাপের এই ম্যামোথকে বলা হতো বাটারকাপ। ২০১৩ সালের এই মহা আবিষ্কারের ফলে একটি প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখানে জেনে নিন এই বিস্ময়কর প্রাণীর অস্তিত্ব আবিষ্কার বিষয়ে কিছু চমকপ্রদ তথ্য।

১. সাইবেরিয়ার উত্তরাংশে একটি লেকের বরফ আচ্ছাদিত তলদেশে ম্যামোথের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে শুনে ছুটে যান বিজ্ঞানীরা।
২. বিজ্ঞানীরা সেখানে গিয়ে দেখেন যে, সেখানে বিশাল এক প্রাণীর বিশাল দুটো দাঁত রয়েছে।
৩. পরের তিন দিন ধরে বরফ গলতে শুরু করল। বিস্ময়করভাবে ম্যামোথটির হাড়, পেশি, দাঁত এমনকি রক্ত পর্যন্ত ভালো অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই ম্যামোথটি ৪০ হাজার বছর আগের।
৪. আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, তার তিনটি পা, দেহের বেশ কিছু অংশ, এর মাথার প্রায় পুরো অংশ ভালো রয়েছে। সম্ভবত প্রাণীটি বরফে আটকে যায় এবং তখন শিকারী কুকুর ও নেকড়ের আক্রমণে মারা গিয়েছিল।
৫. আক্রমণের শিকার হওয়ার পরও তার দেহের অনেক অংশই ভালো ছিল।
৬. কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে দেখা যায়, ম্যামোথটি ৪০ হাজার বছরের পুরনো।
৭. গবেষণায় দেখা গেছে, এই বাটারকাফটি তার ৫০ বছর বয়সে মারা যায়। এটি আরো সুস্থভাবে ১৫ বছর বেঁচে থাকতে পারতো।
৮. বিজ্ঞানীরা এর দেহ থেকে কয়েক আউন্স রক্ত পেয়েছেন। এটি পুরো শুদ্ধ রক্ত না হলেও এতে হিমোগ্লোবিন ভালো অবস্থায় রয়েছে।
৯. এর আকার পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি সাত ফুট উঁচু এবং এর ওজন ১০ হাজার পাউন্ড।
১০. বেশ বড় আকারের একটি জিহ্বা রয়েছে বাটারকাফের। খাবার ও ঘাস চিবুতে এই জিহ্বাটি বেশ কাজে লাগত।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *