গ্রাম বাংলা নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর কাপাসিয়ায় ভূয়া ডাক্তার আটকে ষাঁড়াশি অভিযান ক্লিনিক সিলগালা

গ্রাম বাংলা জাতীয় ঢাকা নারী ও শিশু ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার আদালত সারাদেশ

police

ষ্টাফ করেসপনডেন্ট

গ্রাম বাংলা নিউজ ২৪.কম

গাজীপুর অফিস: কাপাসিয়ায় ভূয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করায় নবজাতকের মৃত্যু হওয়ার সংবাদ গ্রাম বাংলানিউজে প্রকাশের পর প্রশাসন ক্লিনিকটি সিলগালা করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত তিন ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে আটকে ষাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আহসান উল্লাহ গ্রাম বাংলানিউজকে সংবাদটি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে অভিযুক্ত টোক আধুনিক হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে। সিভিল সার্জন কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে তিন ভূয়া ডাক্তার আটকে ষাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

রোববার দুপুরে কাপাসিয়ার টোক বাজারে অবস্থিত টোক আধুনিক হাসপাতালে(বেসরকারি) কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের ঘোষের কান্দি গ্রামের জনৈক মোস্তফা কামালের স্ত্রী জেসমিন আক্তারের পুত্র সন্তান প্রসবের পর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন এমবিবিএস ডাক্তারের সনদপত্র ভূয়া হওয়ায় এলাকাবাসী ক্লিনিকটি ভাংচূর করে দুই ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেন। পুলিশ গিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এই খবর বিকালেই গ্রাম বাংলা নিউজে প্রকাশ হয়। পরদিন সোমবার কর্তৃপক্ষ ওই অভিযান চালায়।

এ ব্যাপারে টোক আধুনিক হাসপাতালের মালিক পক্ষের একজন মোঃ এখলাছ উদ্দিন জানান, ডাঃ রমজান আলী ও ডাঃ রফিকুল ইসলাম তাদের পাশ করার সনদপত্র দেখাতে পারেননি। রোববার পুলিশ এক ডাক্তারকে আটক করে ছেড়ে দেয়।

তিনি আরো জানান, তার হাসপাতালে ওই দুইজন ব্যাতিত ডাঃ বিপ্লব কুমার নামে আরো একজন ডাক্তার রয়েছেন। তিন ডাক্তার তাদের সনদপত্র না দেখানোর কারণে গাজীপুরের সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। বর্তমানে তারা জোরপূর্বক চিকিৎসা করে যাচ্ছেন বলে জানান এখলাস উদ্দিন।

অভিযুক্ত রমজান আলীর বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে ও রফিকুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় বলে জানা গেছে।

এসকল বিষয়ে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম শরীফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওরা ভূয়া ডাক্তার। তাদের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১০/১৫ দিন চলে যাওয়ারও তারা সনদপত্র জমা দিতে আসনেনি। এরপর সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তার আতিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠালেও অভিযুক্তরা ডাক্তারী সনদ দিতে ব্যর্থ হয়। রোগী মৃত্যুর পর ক্লিনিকটি সিলগালা করে ভূয়া ডাক্তার তিনকে আটকের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।

মে ২৭, ২০১৪

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *