ঢাকা; বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর। এ বছর দেশ থেকে সব জুলুম, অত্যাচার ও অত্যাচারী বিদায় নেবে। এবারের বাজেটে সরকার মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিজ ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া ২০১৭-১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেট ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মানুষকে ভাঁওতাবাজি দিতে অনেক কথা বলে। কিন্তু কাজ করে না। ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যায় না। মাছ-মাংসের দাম নাই–বা বললাম।’
খালেদা জিয়া বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুতে নাকি সারা দেশ ঝলমল করবে। এখন ঢাকায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ঝলমলের বদলে সারা দেশ অন্ধকারে। এই হলো আওয়ামী লীগের সত্যিকারের উন্নয়ন। একেকটা প্রকল্প শুরু করে তারপর ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। মানুষ ন্যায়বিচার পায় না। বিচারক নয়, বিচার বিভাগকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ব্যাংকের টাকা প্রতিনিয়ত চুরি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকাও চুরি করে পাচার করেছে। এই পাচারের তদন্তের কী হয়েছে তা কেউ জানে না। সবাই বলে তদন্ত প্রতিবেদন ব্যাংকেই ছিল। আবার সেখানে আগুন লাগল। কীভাবে আগুন লাগল তা জানা যায়নি। তিনি বলেন, পত্রিকা খুললে দেখা যায়, সারা দেশে প্রতিনিয়ত গুম, খুন চলছে। নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে; কেউ নিরাপদ নয়। কি ঘরে কি বাইরে, শিশুরা পর্যন্ত নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে তারা সর্বেসর্বা। দেশের মালিক তারা, দেশের রাজা তারা। কাজেই কাউকে তারা সম্মান দেয় না। এদের কাছ থেকে ভালো কিছু কী আশা করবেন?
বিএনপির নেত্রী বলেন, ‘নির্বাচন এলে ওরা (আওয়ামী লীগ) সুন্দর সুন্দর কথা বলবে, মিথ্যা বলবে। উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরবে। কিন্তু আপনারা যখন হিসাব চাইবেন, তখন হিসাব মেলাতে পারবে না।’ তিনি বলেন, এবারের বাজেট মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে। ব্যাংকে টাকা রাখেত কেউ সাহস করবে না। ব্যাংকে এক লাখ টাকা থাকে প্রতিবছর ৮০০ টাকা কাটা হবে। তাহলে থাকবেটা কী।
ইফতারে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ, মহাসচিব রেদওয়ান আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।