পর্যটন আকর্ষনে সৌন্দর্য বর্ধনে সিলেটে নির্মিত হচ্ছে ‘ফুট ব্রিজ’

Slider সিলেট

IMG_201ggg4_151040-picsay

.

হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: পর্যটন আকর্ষন ও সৌন্দর্য বর্ধনে সিলেট নগরীতে নির্মিত হচ্ছে ‘ফুট ব্রিজ’। সিলেট মহানগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে জল্লার ছড়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান হচ্ছে ব্রিজটি। জিন্দাবাজার সংলগ্ন জল্লারপারে এক টুকরো জলাশয়। এই ছড়া ও জলাশয়ের নাম জল্লার ছড়া।

২০১৫ সালের জুলাই মাসে এই ছড়া দখলমুক্ত করে সিসিক। তখন ছড়ার জায়গায় গড়ে তোলা একটি দোকানের একাংশ ভেঙে ছড়ার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। ছড়ার জায়গায় ১৩ ফুট প্রশস্ত এই ছড়ার উপর ৫ ফুট প্রশস্থ এবং ২৫ ফুট দৈর্ঘের অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছিল। ছড়াটি দখলমুক্ত করার পর থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা শুরু করে সিসিক।

২০১৬ সালে প্রকল্পও হাতে নেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব। যা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সিসিক ও সরকারের নগর উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে উদ্ধারকৃত জল্লারছড়াকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র করতে ছড়ার উপরে নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ‘ফুট ব্রিজ’।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পুরো ফুট ব্রিজের কাজ শেষ হতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ইতোমধ্যে দুই ধাপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। যার একটি টেন্ডার ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার আহ্বান করা হয় গত বছরের ২১ আগস্ট। বর্তমানে এই টেন্ডারের কাজ চলমান আছে। অপর টেন্ডার আহ্বান করা হয় একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর। ওই কাজটি হচ্ছে ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার। আর সম্পূর্ণ ফুট ব্রিজ ও সৌন্দর্যবর্ধণে ব্যয় হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা।

এর মধ্যে ছড়া রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা, দুপাশে দেয়াল, ছড়ার উপর মানুষের চলাচলের রাস্তা, ফুট ব্রিজের উপরে বসার ব্যবস্থা, আলোকিতকরণ, ছড়ার এসএস পাইপ ধারা সৌন্দর্যবর্ধণ এবং পরিবেশ রক্ষায় ছড়ার পাশে বৃক্ষরোপণ করা হবে।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ‘২০০৭ সালে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে জল্লার ছড়া উদ্ধার করা হলে পরবর্তীকালে আবারও ছড়ার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করা হয়েছিল। এরপর ছড়াটি দখলমুক্ত করার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও দখলদাররা ছড়া দখলমুক্ত করেননি।

পরে ২০১৫ সালের শেষের দিকে সিটি কর্পোরেশন এ ছড়াটি দখলমুক্ত করে। অর্থমন্ত্রী নিজে ছড়াটি পরিদর্শন করে ছড়া রক্ষার জন্য বিকল্প কোনো প্রন্তা অবলম্ভনের পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শে ফুট ব্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এনামুল হাবীব বলেন, এ ফুট ব্রিজ হলে ওই এলাকার সৌন্দর্য বাড়বে। মানুষের বিনোদনের একটি স্থান হবে। হাটা চলাফেরা এবং সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সিসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান,‘জিন্দাবাজার-কাজি ইলিয়াস ও দাড়িয়াপাড়া দিয়ে প্রবাহিত একটি ছড়া জল্লার ছড়ায় মিলিত হয়েছে। জল্লার ছড়া পরে তালতলা গিয়ে বলরামের খালের সাথে সংযুক্ত হয়ে সুরমা নদীতে মিশেছে।

এই ছড়াটি উদ্ধারের পর ফুট ব্রিজ করায় ছড়া রক্ষা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ছড়ার উদ্ধারের কারণে জল্লারপার এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। আর ফুট ব্রিজ হলে এর সুবিধা সিলেটের মানুষই ভোগ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *