অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণার পর হল ছেড়ে গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ-ভাংচুরের প্রেক্ষাপটে শনিবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি রবিবার সকাল ১০ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পর রবিবার ভোর থেকেই ছাত্রদের ৭টি এবং ছাত্রীদের ৮টি হলের শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ শুরু করেন। এদিকে হল খালি করে দেওয়ার আকস্মিক এই নির্দেশে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হল বন্ধের এই পরীক্ষাজনিত জটিলতায় পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এদিকে আজও কোনো রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্যা শুক্রবার ভোরে সাভারের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নাজমুল হাসান রানা এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত বাসের ধাক্কায় নিহত হলে ওইদিন দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তাদের সহপাঠীরা। এরপর নিহতদের লাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে না এনে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দোষারোপ করেন। শনিবার দুপুর থেকে তারা ফের মহাসড়কে অবস্থান নিলে বিকালে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়।
বিকালে পুলিশের হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছেড়ে দিলেও পরে উপাচার্যের বাসভবনের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে ভাংচুর চালায়। এরপর রাত ১০টার দিকে পুলিশ উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে থাকা ১০ ছাত্রীসহ আন্দোলনকারী ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে অবরোধের মধ্যেই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।