ভাস্কর্য সরানোর বিক্ষোভে গ্রেপ্তার চারজনের জামিন

Slider বাংলার আদালত

29e9861d6a7ea902e443c9c7864461ce-592a67338b97e

 ঢাকা; সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিক্ষোভ করার সময় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফাইল ছবিসুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় গ্রেপ্তার ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনের জামিন হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈনুদ্দীন সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।

বাকি তিনজন হলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মোর্শেদ হালিম, ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী আল আমিন হোসেন জয় ও উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফ নূর।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহমেদ বলেন, এ মামলার এজাহারে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সঙ্গে এই চারজন জড়িত ছিলেন না—আদালতকে তা জানানো হয়েছে। আজ বিবাদীপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সারা হোসেন।

গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা ও পুলিশকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় এই চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আজ রোববার দিন ধার্য করেন।

ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গত শুক্রবার দুপুরের দিকে ছাত্র ইউনিয়ন, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও ব্লগার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, গণজাগরণ মঞ্চ, ছাত্র-শিক্ষক-লেখক-শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী, নাগরিকেরাসহ বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রঙিন পানি ছিটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হন ১০ জন। পুলিশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটক বরাবর লিলি ফোয়ারায় ভাস্কর্যটি বসানো হয়। দেড় মাসের মাথায় এটিকে গ্রিক দেবীর মূর্তি দাবি করে অপসারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে লিখিত আবেদন জানান আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী বিবৃতি দিয়ে ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। হেফাজতের সর্বশেষ বিবৃতিতে রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোররাত চারটা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *