ঢাকা ; সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর ঘটনা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকেই স্ট্যাটস দিয়েছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। তারা জানাচ্ছেন তাদের প্রতিক্রিয়া।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক আলী রিয়াজ লিখেছেন, ‘ঢাকায় জিপিওর সামনে স্থাপিত বর্ষা নিক্ষেপের ভাস্কর্যটি রাতের অন্ধকারে সবার অগোচরে সরিয়ে ফেলার ঘটনার কথা কি কারও মনে আছে? সেটা কোন সালের ঘটনা? কিংবা মনে করতে পারেন, বিমানবন্দরের সামনে থেকে বাউলের ভাস্কর্য সরানোর ঘটনা? সেটাই বা কবে ঘটেছিল? সেই সময়ে কে কী বলেছিলেন? মনে করতে না পারলে অসুবিধা নেই-ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে৷মূল চরিত্রের বদল হয় মাত্র৷ আর হ্যাঁ, পুনরাবৃত্ত ইতিহাস হচ্ছে প্রহসন৷ সেই প্রহসনের সাক্ষী হয়ে থাকা কম ভাগ্যের কথা নয়৷ প্রহসনের নায়ক-নায়িকারাও “শিল্পী”, কিংবা পুতুলনাচের উপাদান। ’
আলী রীয়াজের স্ট্যাটাসে শেখ খলিল সোহেলের মন্তব্য, ‘অন্য দলের সময় করলে মৌলবাদী বলা হতো! রাজনীতির মাঠে-ঘাটে আদর্শ-চেতনা ঝলসানো রুটি!’
একই স্ট্যাটাসে ওয়াসিউর রহমান শিবলির মন্তব্য, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা হয়। আবার যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাদী, তাঁদের কাছ থেকেই ক্ষমতায় টিকে থাকার এমন অপরাজনীতি শিখতে হয়। আজ বিএনপি এই কাজ করলে আওয়ামী নেতৃবৃন্দের আর মিডিয়ার সমালোচনায় দেশ সরগরম থাকত। ’
আবিদা সুলতানা ইতির মন্তব্য, ‘এসব মনে রাখাও তো অপরাধ!’
মুর্শিদ শালিনের মন্তব্য, ‘ডিসক্লেইমার: থেমিসের ভাস্কর্য স্থাপন এবং অপসারণ সম্পূর্ণরূপে সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার। এখানে সরকার বা সরকারি দলের কোনো ভূমিকা নেই। নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি ও শৃঙ্খলা বিধি-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ এবং উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলা নিয়ে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই। ’
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন, ‘ভাস্কর্য নিয়ে সরকারের নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশলের প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা ছয়টা শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিল। যোগ দিন, সরব হোন। সরকারের হেফাজতীকরণ রুখে দাঁড়ান। ’
ইমরানের স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন বাহার উদ্দিন রায়হান। তাঁর মন্তব্যের অংশবিশেষ লেখা হয়েছে, সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে আপসকামিতা পাকিস্তানের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। আদর্শের চেয়ে আপসকামিতা যদি বড় হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তা বিপজ্জনক।
একই স্ট্যাটাসে নাহিয়ান চৌধুরী লিখেছেন, ‘ইমরান ভাই, এটা কিন্তু ঠিক না! আপনার অনেক কথার সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু এই ব্যাপারে এক হতে পারছি না! হাজার হলে আপনি ভুলে গেলে চলবে না, এটি একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই জায়গার আশপাশে একটা বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়, তাই ওখান থেকে দেবীর মূর্তিটি সরালে তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না…। ’
তরুণ নির্মাতা মনন আসাদ তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘নির্মাতার সৃষ্টি ধ্বংসের (সন্তান হারানোর) দুঃসহ কষ্টটা আমি বুঝি। কিন্তু কিছুই করার নেই মৃণাল হক। চেতনা নিরুপায়=হেফাজতের ভোট!’
মননের স্ট্যাটাসে মাইনুল খান স্মরণের মন্তব্য, ‘হেফাজতের ভোট পাবে তো!’। তার মন্তব্যের জবাবে মনন লেখেন, ‘দিবে তো!’ পাল্টা উত্তরে মাইনুলের মন্তব্য, ‘একটাও না’
একই স্ট্যাটাসে আজম খানের মন্তব্য, ‘ভোট হেফাজত দিবে আওয়ামী লীগকে? যারা চিন্তা করে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
আজম খানের মন্তব্যে সহমত পোষণ করে দীন মোহাম্মদ মন্টু লিখেছেন, ‘ঠিক। ’