সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়া কীভাবে বিচারপতি অপসারণ? : প্রধান বিচারপতি

Slider জাতীয় বাংলার আদালত

134321Court1

 

 

 

 

সংসদে কোনো দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে সংসদের মাধ্যমে কীভাবে বিচারপতি অপসারণ হবে? উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা বিষয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির সপ্তম দিনে এই প্রশ্ন রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আজ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

শুনানির চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, শাসনতন্ত্রে দেশের সবচেয়ে পবিত্র আইন (সংবিধান) আমরা সংরক্ষণ করি। পার্লামেন্টে টু থার্ড মেজরিটি না থাকলে ওই পরিস্থিতিতে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে তখন কী হবে? জুডিশিয়ারি কী করবে? আমাকে এ বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে। জবাবে লিখিত বক্তব্যে এর ব্যাখ্যা রয়েছে বলে জানান রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২ আইনজীবী হচ্ছেন—বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার আজমালুল হক কিউসি, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও এম আই ফারুকী।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়া হয়। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ পায়। পরে এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *