সে রাতে কতটাকা ব্যয় করেছিল সাফাত?

Slider ঢাকা

180716madok-20170514182859

 

 

 

 

রাজধানীর বনানীর হোটেলে ২৮ মার্চ ব্যয়কৃত টাকার হিসেব পাওয়া গেছে। ২৮ মার্চ বিকাল ৪টা থেকে ২৯ মার্চ সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় তার ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ষাট হাজার টাকা। সাফাতের নামে হোটেলের দেওয়া রিসিটে মদ জাতীয় দ্রব্যের কোনও উল্লেখ নেই। তারমানে মাদকের আলাদা মূল্য রয়েছে। মানি রিসিটের সাথে মাদকের মূল্য যোগ করলে তার পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। মানি রিসিট অনুযায়ী সেদিন মোট ব্যয় হয়েছিল ৫৯ হাজার ৫শ ৭১ টাকা। হোটেলে সাফাত আহমেদের নামে যে মানি রিসিট তৈরি করা হয়েছিল তার কপি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন ২৮ মার্চ বিকাল ৪টা ০৮ মিনিটে হোটেলের ৭০১ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেয় সাফাত। পরে ৭০১ নম্বর কক্ষটি বদল করে ৭০০ নম্বর কক্ষে চলে যান। কক্ষ বদলের সময়ের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে তারা কোন কোন সার্ভিস নিয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ মানি রিসিটে লেখা রয়েছে।

গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা হয় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে। মামলায় বলা হয়, সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দুই তরুণীকে দাওয়াত করা হয়। এরপর সাফাত ও তার বন্ধু নাঈম তাদেরকে আটকে রেখে অস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়।

পরে দুই তরুণীর বাসায় সাফাতের দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলেও মামলায় বলা হয়। ধারণ করা ওই ভিডিওচিত্র অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার হুমকির মধ্যেই তরুণীরা ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় পর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তারা।

এর আগে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল। চার দিনের রিমান্ড শেষে বিল্লালকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ণনা দেন। আলোচিত আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে মোঃ আবদুল হালিমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *