অভিশংসিত হতে পারেন ট্রাম্প!

Slider সারাবিশ্ব

65879_b2

ঢাকা; তবে কি সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প! এ আলোচনা এখন যুক্তরাষ্ট্র ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। রিচার্ড নিক্সনকে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঠিক রিচার্ড নিক্সনের পথেই হাঁটছেন। এর ফলে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব জোরালো হয়েছে। ডেমোক্রেট দলের কমপক্ষে দু’জন কংগ্রেশনাল সদস্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনার দাবি করেছেন। তবে তাতে আপাতত সায় দেননি প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ডেমোক্রেট ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেছেন, এ আহ্বান ওই সদস্যদের নিজস্ব। এ খবর দিয়ে লন্ডনের অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন সাংবাদিক ক্রিস গ্রাহাম। এতে তিনি লিখেছেন, রাশিয়া কানেকশন নিয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর একদিন পরেই ট্রাম্প ও এফবিআইয়ের তখনকার পরিচালক জেমস কমির সঙ্গে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে জেমস কমি’কে ফ্লিনের বিরুদ্ধে রাশিয়া কানেকশনের তদন্ত বন্ধ করার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে এফবিআইয়ের একটি মেমোর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পত্র-পত্রিকায়। এর ফলে ক্রিস গ্রাহাম যে প্রতিবেদন লিখেছেন তার শিরোনাম ‘ক্যান ডনাল্ড ট্রাম্প বি ইমপিচড ওভার দ্য রাশিয়া অ্যান্ড কমি স্ক্যান্ডালস?’ অর্থাৎ রাশিয়া কানেকশন ও কমি স্ক্যান্ডালে কি ডনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা যাবে? এতে এফবিআইয়ের ওই মেমোকে নতুন এক বিস্ফোরক বলা হয়েছে। কারণ, মাত্র গত সপ্তাহে  হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলায়েক। তাদের কাছে ট্রাম্প আইএস বিষয়ক স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন বলে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র এক চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা ডেভিড অ্যাকেলড টুইটে বলেছেন, এই সময়ে অভিশংসনের বিরোধী আমি। কিন্তু যদি কমি মেমো সত্যি হয়ে থাকে এবং কমি অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য, তাহলে আমাদেরকে নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে হবে। এখন কথা হলো যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনতে হয় তাহলে তা কিভাবে হবে।
অভিশংসন কি?
অভিশংসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কংগ্রেস। এক্ষেত্রে বেশ কতগুলো ক্ষেত্রে অপরাধ খুঁজে দেখা হয় সংবিধানের অধীনে, যার ফলে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করা যায়। এমন অপরাধগুলো হলো রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘুষ গ্রহণ, উচ্চ পর্যায়ের ক্রাইম বা অপকর্ম। অভিশংসন মানেই প্রেসিডেন্টকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে এমনটা নয়। প্রথমে এ প্রক্রিয়ায় একটি বিল আনা হয়, যা আইন প্রণেতারা অনুমোদন দেন। প্রথমেই অভিশংসনের প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে সেখানে ৪৩৫ জন সদস্যের মধ্যে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ ২১৮ জন সদস্যের ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। এর কম ভোট পেলে ওই প্রস্তাব অনুমোদন পাবে না। কিন্তু বর্তমানে যে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট আছে তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। তারা ট্রাম্পের পক্ষেই কথা বলবেন- এমনটাই স্বাভাবিক। প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের আসন আছে ২৩৮টি। ডেমোক্রেটদের ১৯৩টি। চারটি আসন বর্তমানে শূন্য আছে। যদি ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনেন এবং তারা নিজেরা সবাই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন তবুও প্রস্তাবটি পাস হতে রিপাবলিকানদের কমপক্ষে ২৫টি ভোট প্রয়োজন হবে তাদের। কিন্তু এই মুহূর্তে রিপাবলিকানদের কাছ থেকে এই ২৫টি ভোট ছুটে আসার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি। তারপরও যদি প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাব পাস হয় তা পাঠিয়ে দেয়া হবে সিনেটে। সেখানে প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করতে প্রয়োজন হবে প্রস্তাবের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট। এক্ষেত্রে এক রকম অনিশ্চয়তা রয়েছে।
ইতিহাস কি বলে
ইতিহাস বলে অভিশংসন প্রক্রিয়া অতোটা সহজ বা সোজা বিষয় নয়। অতীতে মাত্র দুজন প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করা হয়েছে। তবে তাদের কাউকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় নি। ১৮৬৮ সালে প্রথম অভিশংসিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট অ্যানড্রু জনসন। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডউইন স্ট্যান্টনকে সরিয়ে তার পদে অন্য কাউকে বসানোর চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছিল তিনি আইন ভঙ্গ করে এ কাজটি করেছেন। গৃহযুদ্ধের পর ওই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সিনেটের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হতো প্রেসিডেন্টকে। তাকে অভিশংসিত করার প্রস্তাব পাস হয়েছিল সিনেটে। কিন্তু তিনি মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে অভিশংসিত অন্য প্রেসিডেন্ট হলেন বিল ক্লিনটন। মনিকা লিউনস্কি কেলেঙ্কারিতে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে তার বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গ ও বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে ওই প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু সিনেট তাকে বেকসুর খালাস দেয়। অন্যদিকে ১৯৭৪ সালে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে অভিশংসিত হতে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। তার বিরুদ্ধে এ প্রস্তাব আনা হলে অবশ্যই তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হতো। কিন্তু এমন বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আগেই তিনি প্রেসিডেন্ট পদ ত্যাগ করেন। ক্ষমতা তুলে দেন জেরাল্ড ফোর্ডের হাতে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হতে পারে
অনেক মানুষ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্য নন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ বিষয়টি অভিশংসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়। এমন কি বিষয়টি সংবিধানের আওতাভুক্তও নয়। তাহলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ কি হতে পারে?
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে গুরুতর কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আইএস নিয়ে স্পর্শকাতর ও অত্যন্ত গোপনীয় বিষয় রাশিয়ার সঙ্গে তিনি শেয়ার করেছেন। যদি এটা সত্যও হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেছেন বলে মনে হয় না। একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোপনীয় বিষয় প্রকাশ করার এখতিয়ার আছে তার। এ জন্যই তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, আমার এটা করার ‘অ্যাবসলুট অধিকার’ আছে।
অন্যরা তার ব্যবসায়ী বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শপথ নিয়ে দায়িত্ব শুরুর পর পরই সংবিধানের আর্টিকেল-১ এর সেকশন-৯ এর অধীনে বৈদেশিক অর্থ সংক্রান্ত অংশ তিনি সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন বলে আঙ্গুল তুলেছেন আইন বোদ্ধারা। যদিও ট্রাম্প তার ব্যবসা থেকে নিজেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে রেখেছেন।
তবে সর্বশেষ যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা খুবই গুরুতর। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধে বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল সেই একই কথা বলা হচ্ছে ট্রাম্পের ক্ষেত্রে। তিনি এফবিআইয়ের পরিচালক পদ থেকে জেমস কমি’কে বরখাস্ত করার পর পরই এমন কথা বলা হচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তদন্ত বিঘ্নিত করতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেমস কমি’কে সরিয়ে দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে পড়েছে জেমস কমি’র একটি মেমো। তাতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে মাইকেল ফ্লিনের রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তদন্ত বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডেমোক্রেট সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্টাল বলেছেন, এই মেমো অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রমাণ। এটা প্রমাণ করে যে, বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বিষয়টি তদন্ত করাতে হবে একজন নিরপেক্ষ স্পেশাল প্রসিকিউটর দিয়ে।
ট্রাম্প কি আইন ভঙ্গ করেছেন
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প তার মন্তব্য নিয়ে নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। মেমোতে তেমনটাই বলা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার আরভাইনস স্কুল অব ল’র ডিন ও সাংবিধানিক আইন বিষয়ের অধ্যাপক এরউইন চেরেমিন্সকি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট যদি সম্ভাব্য একটি ক্রিমিনাল তদন্ত বন্ধের জন্য এফবিআইকে বলে থাকেন তাহলে সেটা বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার শামিল। এটাই প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পদত্যাগের কারণ ছিল’।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার অভিযোগের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যটা বড় একটি উপাদান। আর প্রেসিডেন্টের বলা কথাগুলো বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কমিকে বরখাস্ত করার ঘটনার মতো অন্যান্য পদক্ষেপের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হিসেবে ওই বক্তব্যকে তুলে ধরা হতে পারে।
বলা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ‘আশা করেন’ ফ্লিন তদন্ত বন্ধ করে দেবেন কমি। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি ল’ স্কুলের ফৌজদারি আইন বিষয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার স্লোবোগিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সরাসরি নির্দেশ না দিয়ে এভাবে বলাতে ‘মামলাটা কিছুটা দুর্বল হলেও যুক্তিসঙ্গত হবে।’
আইন মন্ত্রণালয় হোয়াইট হাউসকে কয়েক সপ্তাহ আগে সতর্ক করে বলেছিল যে, ২০শে জানুয়ারি ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলায়েকের সঙ্গে যোগসূত্র থাকা নিয়ে ব্ল্যাকমেইলের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন ফ্লিন। এ খবর আসার কয়েক ঘণ্টা পরই ফ্লিন পদত্যাগ করেন।
পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কি?
রিপাবলিকানদের যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে হবে অত্যন্ত জোরালো ও ফাঁকফোকরবিহীন। রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ওভারসাইট কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাসন শ্যাফেটজ বলেছেন তার ‘কমি মেমো উদ্ধার করবেন, যদি তার অস্তিত্ব থাকে। যত দ্রুত সম্ভব আমার এটা দেখা প্রয়োজন। আমার সমন লেখার কলম প্রস্তুত।’
রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করে হোয়াইট হাউস অব্যাহতভাবে তাদের অবস্থানে অটল। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘জেনারেল ফ্লিন একজন সজ্জন ব্যক্তি যিনি আমাদের দেশকে সেবা করেছেন, সুরক্ষা দিয়েছেন- প্রেসিডেন্ট বারবার এমন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করলেও, তিনি কখনই মি কমি বা অন্য কাউকে জেনারেল ফ্লিন সংশ্লিষ্ট তদন্তসহ অন্য কোন তদন্ত বন্ধের নির্দেশ কখনই দেন নি।’
রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটরা শুধু এই মেমো দেখতে চাইছেন তাই নয়, তারা চান মি. কমি সাক্ষ্য দিক।
রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘পরিচালকের সঙ্গে কি ঘটেছিল তার শেষ অবধি দেখা হোক। আর এর উপসংহারে যাওয়ার সেরা উপায় হলো তার সাক্ষ্য দেয়া। আমি একটি মেমো নেবো না। আমি চাই ওই ব্যক্তি আসুক। তিনি যদি এটা লেখার মতো আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন তাহলে তার উচিত আমাদেরকে বিষয়টা খোলাসা করে বলা।’
ডেমোক্রেটিক সিনেটর ডায়ান ফাইনস্টাইন বলেন, মি কমির ক্যাপিটল হিলে এসে সাক্ষ্য দেয়া প্রয়োজন। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেন, প্যানেলের তদন্তের অংশ হিসেবে তিনি কমির কাছে আরো নথিপত্র চাইবেন। তিনি বলেন, ‘মেমো, ট্রান্সক্রিপ্ট, টেপ- তালিকা বেড়েই চলেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *