ঝিনাইদহ সংবাদ

Slider খুলনা

 

pic (6) (1)

 

 

 

 

 

মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৮নং চাঁদপুর ইউনিয়নের দ্বরিবিন্নী,বাসুদেবপুর ও কেসমত এর তিনটি গ্রামের সমন্নয়ে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এবং হামিদহাটি,যাদবপুর ও কলাকুলা গ্রামের সমন্নয়ে ৪নং ওয়ার্ড এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ১৪মে রবিবার বিকাল ও রাতে দ্বরিবিন্নী স্কুল মাঠে ও হামিরহাটি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের ৮নং চাঁদপুর ইউনিয়নসহ ৯টি ওর্য়াডের সম্মেলনের প্রধান সমন্নয়ক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ৮নং চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা,কুমড়াবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগনেতা ও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান ডাবলু, ৮নং চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাশিদুল আলম রশিদ, খুলনা মহানগরের সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগনেতা শামীমুল ইসলাম শামীম।

২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান ও ৪নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগনেতা আবজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধে বক্তব্য রাখেন, ২নং ওয়ার্ডের দরিবিন্নী গ্রামের ডাঃ মোঃ মহাসিন,বাসুদেবপুর গ্রামের ডাঃ মোঃ মনছুর আলী,সাবেক মেম্বর লিয়াকত হোসেন, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ৪নং ওয়ার্ডে গোলজার হোসেন ও ৮নং চাঁদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাকিব উদ্দিন প্রমূখ।প্রথম অধিবেশন শেষে ২ ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন ৮নং চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাশিদুল আলম রশিদ।

৮নং চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশন ৮নং চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাশিদুল আলম রশিদের সভাপতিত্বে শুরু হয়।২ং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিতে সকল সদস্য হাত উচিয়ে সমর্থন জানান এবং বিনা প্রতিদন্দিতায় দরিবিন্নী গ্রামের ডাঃ মোঃ মহাসিন আগামী তিন বছরের জন্য (ঘোষনা ছাড়া) ২ং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।এবং সাধারন সম্পাদক পদে ৪জন প্রার্থী থাকায় সমযোতার মাধ্যমে পরবর্তি সভায় সাধারন সম্পাদকের পদ ঘোষনা করা হবে।

কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তেলেসমাতি রক্ষাকবজে রুগী আছে ডাক্তার নেই
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
কোনো কাজ করেন না, অথচ প্রতি মাসের শেষে ঠিকই বেতন-ভাতা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। নেই কোনো বাধা, তাই তো মাসের পর মাস নিজ কর্মস্থলে থাকছেন না ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক চিকিৎসক ও নার্সসহ অনেকেই। তারা ‘ডেপুটেশন’ নামের এক তেলেসমাতি কাগজের বদৌলতে যোগদানস্থলে কাজ করবেন না বলে অন্য শহরে চলে গেছেন। বাস্তবে সেখানেও নামমাত্র স্বাক্ষর দেখিয়ে ওই চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বার ও বিভিন্ন ক্লিনিকে দাপিয়ে বেড়ান।

ফলে সেবাদাতার সংকটে কালীগঞ্জের ৫০ শয্যার হাসপাতাল ও গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর বেহাল দশা। ধারাবাহিক এ অনিয়মের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার মেরুদন্ড। তবে চিকিৎসকদের কেউ কেউ বলেছেন, এমন অনিয়মের চিত্র নাকি দেশের সব উপজেলা সদরেই চলছে। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসক থাকার কথা ২১ জন। তবে কাগজ-কলমে আছেন মাত্র ৭ জন। সেই ৭ জনের খোঁজ নিয়ে বাস্তবে দেখা গেছে কর্মক্ষেত্রে ডাক্তার আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ২ জন ডা. আলাউদ্দিন ও ডা. নাহিদুল ইসলাম ডেপুটেশন কাগজ নিয়ে রয়েছেন ঝিনাইদহ শহরে। কিন্তু তারা মাসে মাসে ঠিকই এ হাসপাতালে এসে স্বাক্ষর করে বেতন-ভাতা তোলেন।

চিকিৎসকদের দেখাদেখি একই পন্থায় এ হাসপাতালের ৩ নার্স প্রভাব খাটিয়ে থেকে গেছেন জেলা সদরে। তাদের মধ্যে নার্স হালিমা খাতুন ও লক্ষ্মীরানী রয়েছেন ঝিনাইদহ সদরে এবং শাহানাজ পারভীন রয়েছেন যশোরের বক্ষব্যাধি হাসপাতালে। তারাও কাজ না করে মাসে মাসে এসে বেতন তোলেন। তাদের এসব বিষয়ে কেউ কেউ বলেছেন, বাইরে থাকা ওইসব চিকিৎসক-নাসে উপরমহলে ব্যাপক খুঁটির জোর রয়েছে। সেই ক্ষমতার জোরেই তারা নাকি ডেপুটেশন নামের এক তেলেসমাতি কাগজ ব্যবহার করেছেন। যার বদৌলতে মাসের পর মাস ডাক্তার ও নার্স হাসপাতালে না এলেও তাদের কোনো সমস্যা হয় না।

এ হাসপাতালে যোগদান করার পর ‘ডেপুটেশন’ কাগজ নিয়ে বাইরে থাকলেও হাসপাতালে এসে বেতন তুলে নিচ্ছেন, এ বিষয়ে জানতে কথা বললে ডা. নাহিদুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন জানান, কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশনের রোগী কম হয়। তাই জেলা সিভিল সার্জন তাদের জেলায় নিয়ে এসেছেন। আর নার্স হালিমা খাতুন জানান, বাচ্চাদের স্কুল ও পারিবারিক কারণে তিনি ডেপুটেশন নিয়ে ঝিনাইদহে আছেন, অন্যজন লক্ষ্মীরানী বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এরপর আরও বেহাল অবস্থায় রয়েছে উপজেলার দুটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ ১১টি কমিউনিটি ক্লিনিক। এতে ১১ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র ৩ জন, বাকি ৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

৩ জনের মধ্যে ১ জন চিকিৎসক গত ২ বছর আগে বলরামপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগদানের পরদিন সেই যে চলে গেছেন আর ফিরে আসেননি। আর ১১টি ইউনিয়নে ১১ জন মেডিকেল অ্যাসিস্টেনটের (সেকমো) মধ্যে ৫ জনই রয়েছেন বড় জেলা শহরে। তাদের মধ্যে ইয়াসমিন আরা রয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরে, জয়নাল আবেদিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে, তাসলিমা খাতুন কুষ্টিয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালে, মাহাবুবার রহমান ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুুতে ও সালাউদ্দিন রয়েছেন ঝিনাইদহের সাধুহাটিতে। তারাও কাজ না করে প্রতি মাসে বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন। বেতন-ভাতা তুলে নেওয়ার পেছনে তাদের সবারই রয়েছে ডেপুটেশন নামের এক তেলেসমাতি রক্ষাকবজ।

জয়নাল আবেদিন জানান, তার স্ত্রীও একই চাকরি করেন আর ছোট ছেলে-মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা-মা পরিবারের দেখাশোনার জন্য তিনি ডেপুটেশন নিয়ে সেখানে আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রফুল্য কুমার জানান, চিকিৎসক, নার্স ও জনবলসহ নানা সংকটে সেবাদান কিছুটা সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এ হাসপাতালে পোস্টিং নিয়ে যারা বাইরে আছেন তারা ডেপুটেশনে থাকায় তিনি তাদের কিছু বলতে পারেন না।

ঝিনাইদহে জঙ্গী আস্তানায় অভিযান শেষ:প্রেস ব্রিফিং এ র‌্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান
ঝিনাইদহ জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ২টি সুইসাইডাল ভেস্ট ও ১টি এন্টি মাইন
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ ঘোষনা করেছে র‌্যাব। আজ দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে এ ঘোষনা দেওয়া হয়। র‌্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান এ ঘোষনা দেন। বুধবার সকাল পৌনে ৯টা থেকে র‌্যাব এ অভিযান শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে ২শ’ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ ছিল। এ অভিযানে র‌্যাবের ঢাকা থেকে মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান, পরিচালক অপারেশন লে.কর্নেল মাহমুদ, র‌্যাব ৬ এর কমান্ডিং অফিসার এডিশনাল ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ র‌্যাবের অধিনায়ক মেজর মনির আহমেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা আসার পর জঙ্গী আস্তানা থেকে উদ্ধার ২টি সুইসাইডাল ভেস্ট ও ১টি এন্টি মাইন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর পরপরই অভিযান শেষ করা হলো বলে মৌখিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে জানানো হয়। মঙ্গলবার অভিযানে ২টি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৫টি শক্তিশালী বোমা, ১৮টি ডিনামাইট স্টিক, বিপুল পরিমান বোমা তৈরীর ১৮৬ টি সার্কিট ও ১টি এন্টি মাইন উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে সেলিম ও প্রান্ত নামে দুই নিউ জেএমবি সদস্যকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। প্রথম দিকে র‌্যাব দুটি জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পেলেও পরে অভিযান চলাকালে পর্যায়ক্রমে আরো ৩টি জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পায়। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২য় দফায় এসব জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে শেষ করে।

ঝিনাইদহের ফুরসন্দি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টে শুভ উদ্ভোধন
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সদরের ফুরসন্দি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টে শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠিত হয় ধনঞ্জয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সুস্থ,সুন্দর জীবন গড়ার জন্য খেলাধূলা আবশ্যক। ফুরসন্দি ইউনিয়নের ফুরসন্দি, বামনাইল, মাড়ন্দী, মিয়াকুন্ডুূ, সনাতনপুর, মুক্তারাম পুর, টিকারি, দিঘিরপাড়, ধনঞ্জয় পুর, সমসপুর, জিথর, লক্ষ্মীপুর সহ ইউনিয়নের ১৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশগ্রহনে এই খেলা শুরু হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় ধনঞ্জয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্ভোধন করেন ফুরসন্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঝিনাইদহ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ আব্দুল মালেক মিনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউ পি সাদস্য আসাদুল ইসলাম সহ ১৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী বৃন্দ। এ খেলা পরিচালনা করেন সাগর তার সাথে সহযোগিতা করেন রশিদ, জামির, প্রবীর, সাইদ, পারভেজ ও সুমন। ফাইনালে ফুরসন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২-১ গোলে টিকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে এবং মুক্তারাম পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সনাতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ০-১ গোলে পরাজিত করে ইউনিয়ন চাম্পিয়ানের গৌরব অর্জন করে। এই খেলা শেষে ফুরসন্দি ইউনিয়নের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থানা পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *