মূল কাঠামো ও নদীশাসন করবে দুই চীনা প্রতিষ্ঠান

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি জাতীয়

1403260080পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ করতে আগ্রহী ছিল দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শেষ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় এ অবকাঠামো নির্মাণের ভার দেওয়া হয়েছে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানকেই। আর পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে একটি কোরীয় প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুসহ এ দেশে অনেক সেতু তৈরি করেছে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তাই পদ্মা সেতুর কাজও দেওয়া হয়েছে চীনা দুটি প্রতিষ্ঠানকে। পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ করবে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি লিমিটেড। চীনের অন্য প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন পেয়েছে নদীশাসনের কাজ। প্রকল্পে ২৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২১ হাজার কোটি টাকার কাজ করবে এই দুই চীনা প্রতিষ্ঠান। চীনের এ দুটি প্রতিষ্ঠান দেশের বহুল আলোচিত দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত। চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি লিমিটেড জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পের চারটি অংশের মধ্যে একটি অংশে কাজ করছে। আর সিনোহাইড্রো কাজ করছে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পের ১০টি অংশের মধ্যে সাতটিতে।
মূল সেতুর পাইল নির্মাণ চলছে জার্মানি ও চীনে। জার্মানির এমইসিএইচ কম্পানির কারখানায় অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে স্টিল ফেব্রিকেশন ও পরীক্ষামূলক পাইল নির্মাণের কাজ। চীনের ন্যাংটং কম্পানিতেও তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া চলতি মাসেই নদীশাসনের কার্যাদেশ পাওয়া সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের মালামাল আসা শুরু হবে চীন থেকে। সরকার এ জন্য ১২০০ কোটি টাকা দেবে। এর আগে সমপরিমাণ ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে সিনোহাইড্রো।
মূল কাঠামো ও নদীশাসন করবে দুই চীনা প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দোতলা এ সেতু প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে মূল সেতু নির্মাণে। নদীশাসনে ব্যয় হবে আট হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান সব মিলিয়ে কাজ করবে ২০ হাজার ৮৪১ কোটি টাকার। সেতুটি নির্মাণ করা হবে অত্যাধুনিক স্টিল দিয়ে। বড় আকারের ৪২টি পিলারের ওপর ভর করে দাঁড়াবে সেতু। ১৫০ মিটার পর পর বসবে একেকটি পিলার। দোতলা সেতুর ওপরতলাটি ব্যবহৃত হবে সড়ক পরিবহন কাজে। আর নিচতলা দিয়ে চলবে ট্রেন। নির্মাণকাজ শেষে ২০১৮ সাল নাগাদ সেতুটি চালু হবে বলে মনে করছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যোগ্য বিবেচিত দুটি চীনা কম্পানি দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু করেছে। আমাদের দেশে এ ধরনের বড় প্রকল্প দেশীয় অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে। এ কারণে এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা।’
প্রকল্প ব্যয় : ছয়টি অংশে ভাগ করা হয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। নদীশাসনের কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া পরামর্শক (সেনাবাহিনী ও কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে) ব্যয় ৫৩৭ কোটি, জাজিরা সংযোগ সড়ক নির্মাণে এক হাজার ৯৭ কোটি, মাওয়া সংযোগ সড়ক নির্মাণে ১৯৩ কোটি এবং সার্ভিস এলাকা-২ নির্মাণে ২০৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনে ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যয় প্রায় ২৪ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। তবে প্রকল্প এলাকায় নদীভাঙন রোধসহ আরো কিছু ছোট প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে এ ব্যয় ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
মূল কাজে চায়না মেজর : মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মধ্যে মূল সেতু হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। মূল সেতুর কাজ পাওয়ার পর চায়না মেজর ব্রিজ কম্পানি লিমিটেড প্রকল্প এলাকায় মাটি পরীক্ষা, পিলার নির্মাণের স্থান নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় মালামাল আনতে শুরু করেছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য মাওয়া ও জাজিরায় চলছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। মূল সেতুর ৪২টি বড় পিলার ছাড়াও দুই তীরে দেড় কিলোমিটার করে তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতুর জন্য আরো ২৪টি পিলার তৈরি করা হবে। মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে নকশা করার সময় ১৩টি পয়েন্টে মাটি পরীক্ষার কাজ আগেই শেষ হয়েছে। বাকি ২৯টি পয়েন্টে এখন মাটি পরীক্ষা করতে হবে। মূল সেতুর ৪০টি পিলারে ছয়টি করে ২৪০টি এবং দুই পারের দুটিতে ১২টি করে ২৪টিসহ মোট ২৬৪টি পাইল করতে হবে। নদীতীরে মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
চায়না মেজর ব্রিজ কম্পানি সূত্রে জানা গেছে, চীনের ন্যাংটংয়ের স্টিল কাটার ফেব্রিকেশন ওয়ার্কশপে ৯০ মিটার করে ১০টি পাইল তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো টেস্টিং পাইল হিসেবে তৈরি হচ্ছে। পরীক্ষায় এগুলো সঠিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন প্রমাণিত হলে সেখানে আরো পাইল নির্মাণ করা হবে। এরপর সেগুলো প্রকল্প এলাকায় আনা হবে।
চায়না মেজর ব্রিজের কান্ট্রিপ্রধান রেম কালের কণ্ঠকে জানান, মূল সেতু নির্মাণে চীন ও বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করবে। তাদের মধ্যে চীনের প্রায় ৫০০ নাগরিক থাকবে। এদিকে মাওয়ায় মূল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে মাওয়া চৌরাস্তার অদূরে বর্তমান ঘাট এলাকা দিয়ে। দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করতে মাওয়া ঘাট দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে কুমারভোগের শিমুলিয়া বাজারের কাছে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঘাট স্থানান্তরের জন্য দুই কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ করছে সেনাবাহিনী।
নদীশাসন সিনোহাইড্রোর হাতে : নদীশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে। এ কাজে ব্যয় হবে আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এ জন্য সেতু বিভাগের সঙ্গে চীনা প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি সই হয়েছে গত ১০ নভেম্বর। এর মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি পর্যায়ের শেষ ধাপ অতিক্রম করল সেতু বিভাগ।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুন নদীশাসনের জন্য চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন, দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই ও বেলজিয়ামের জানদিনাল কম্পানি চূড়ান্ত দরপত্র জমা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করে সিনোহাইড্রো। নদীশাসনে সিনোহাইড্রো প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করে ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবে শেষ মুহূর্তে ৫.৬ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয় চীনা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সিনোহাইড্রোর চূড়ান্ত প্রস্তাব দাঁড়ায় প্রায় আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। হুন্দাই ও জানদিনাল প্রস্তাব করে যথাক্রমে ১২ হাজার ১১২ কোটি ও ১২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। প্রায় তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা কম দর প্রস্তাব করে সিনোহাইড্রো।
পদ্মা সেতুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে এই নদীশাসন। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ শেষে এখন চলছে ক্ষতিপূরণ প্রদানের শেষ পর্যায়ের কাজ। তবে সরেজমিনে বাঁধের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চোখে পড়েনি। সেতু বিভাগসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় নদীশাসনের কাজ করা হবে। এর মধ্যে জাজিরা-শিবচর অংশে প্রায় ১২ কিলোমিটার এবং মাওয়া অংশে প্রায় দেড় কিলোমিটার। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে শিবচর অংশে ২৯১ দশমিক ৩১ হেক্টর, জাজিরায় ১৩১ দশমিক ২ হেক্টর এবং মাওয়া অংশে ৮০ দশমিক ৩৮ হেক্টর জমি দুই দফায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (নদীশাসন বাঁধ) নির্বাহী প্রকৌশলী সারফুল ইসলাম সরকার বলেন, অধিগ্রহণকৃত জায়গা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দিতে শিগগির কাজ শুরু হবে। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে। এর আগে নির্মাণ সরঞ্জাম পৌঁছানোর জন্য পদ্মা নদী ড্রেজিং করে চ্যানেল তৈরি করা হবে।
পরামর্শক কোরিয়ার : মূল সেতু ও নদীশাসন কাজে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে কোরীয় প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে। কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব বিবেচনায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এতে ১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের লুইস বার্জার গ্রুপ ইনকরপোরেশন, ফ্রান্সের ইগিস ইন্টারন্যাশনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন ও ভারতের ইন্টারন্যাশনাল কনসালট্যান্টস অ্যান্ড টেকনোক্র্যাটস প্রাইভেট লিমিটেড। গত জানুয়ারিতে চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব মিলিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পায় কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে।
দ্রুত হবে সংযোগ সড়ক : পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজে গত ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ২৮.৮০ শতাংশ। এক হাজার ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এ কাজ করছে আবুল মোমেন লিমিটেড। সহযোগিতা করছে মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান এইচসিএম জেবি। কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর। কাজ হওয়ার কথা রয়েছে কার্যাদেশ দেওয়ার ৩৬ মাসের মধ্যে।
মাওয়া সংযোগ সড়কে ব্যয় হবে ২৬০ কোটি টাকা। কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল গত বছরের ২৭ জানুয়ারি। এ পর্যন্ত অগ্রগতি ২১ শতাংশ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ অংশে মাটির কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। ঢাকা-মাওয়া মূল সড়কের পাশ থেকে প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত সড়কটির কাজ ৩০ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সার্ভিস এরিয়া-২-এ ব্যয় হবে ২৮৬ কোটি টাকা। গত ১২ জানুয়ারি কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৩০ মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। এযাবৎ অগ্রগতি ১১.২৬ শতাংশ।
সিএসসি সেনাবাহিনী : দুই সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া-২-এর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন পশ্চিম (ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ বিআরটিসি, বুয়েট)। সিএসসি নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর।
ভিত্তি হয়েছিল ১৩ বছর আগে : পদ্মায় সেতুর স্বপ্ন বহুদিন ধরেই দেখছে দেশবাসী। এ সেতু নির্মাণ করা হলে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলায় তিন-চার ঘণ্টা কম সময়ে যাতায়াত সম্ভব হবে। স্থাপিত হবে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। রেল সংযোগও স্থাপন হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৮ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। ওই মেয়াদেই ২০০১ সালের ৪ জুলাই প্রকল্পের মাওয়া অংশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ নিলেও প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি। আট বছরের ব্যবধানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসে ২০০৯ সালে। আবারও ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির যড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সেই ঋণ চুক্তি বাতিল করে। এ অবস্থায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে প্রকল্পটি। অবশেষে বিশ্বব্যাংককে বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব প্রক্রিয়া শেষ করে মূল সেতুর কাজ শুরু হচ্ছে। বাকি কেবল আনুষ্ঠানিকতা।- সূত্র কালেরকন্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *