কোনো পারিশ্রমিক পাইনি : প্রসূন

বিনোদন ও মিডিয়া

Proচলচ্চিত্র ভাগ্যটি হয়তো প্রসন্ন নয় প্রসূন আজাদের। অনেক জল ঘোলা হওয়ার পর ১৪ নভেম্বর মুক্তি পেল তার প্রথম ছবি ‘সর্বনাশা ইয়াবা’। এ ছবি নিয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বাসের কথা জানতে টকিজ কান পেতেছিল প্রসূনের নম্বরে ডায়াল করে। কিন্তু প্রসূন শোনালেন প্রথম ছবি নিয়ে তার হতাশা ও বঞ্চনার কথা।
সর্বনাশা ইয়াবা নিয়ে প্রথমেই প্রসূন অভিযোগ তুললেন, ছবির ডাবিংয়ে তার কণ্ঠের পরিবর্তে অন্য কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছে। আর সে ডাবিংয়ের অজুহাতেই তাকে পারিশ্রমিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তরুণদের মাদকাসক্তির বিষয় উপজীব্য করে নির্মিত সর্বনাশা ইয়াবা ছবিটিতে চিত্রায়ণ করা হয়েছে পিতৃমাতৃহন্তা ঐশীর সত্য ঘটনা। কাজী হায়াৎ ফিল্মস এবং মাল্টিমিডিয়া প্রডাকশনস কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ ব্যানারে নির্মিত এ ছবিতে প্রসূনের বিপরীতে ছিলেন কাজী মারুফ। ক্ষোভের বিষয়গুলো আরো খোলামেলা করে প্রসূন বলেন, ‘কাজী মারুফের হাত ধরেই আসলে আমার চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখা। তার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। তার কথাতেই আমি এ ছবিতে রাজি হই। তবে ছবির শুরুতে কোনো চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে দেয়নি আমাকে।’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে কাজী হায়ােক সবাই চেনে। তার সঙ্গে কাজ করতে কোনো চুক্তিপত্র লাগে না। প্রথম ছবি, তাই আমিও নিঃসন্দেহে কাজ শুরু করি। শুটিংয়ের সময় তারা আমার সঙ্গে খুব স্বাভাবিক আচরণ করে। তবে শুটিং শেষে আমার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ তারা বন্ধ করে দেয়। আবার যখন পারিশ্রমিকের জন্য ফোন দিলাম, তখনো তারা আমার কোনো ফোন কিংবা মেসেজের উত্তর দেয়নি। এমনকি ডাবিংয়ের সময়ও আমাকে তারা ডাকেনি।’
সাংবাদিকদের কাছে দেয়া কাজী হায়াতের বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রসূন বলেন, ‘পারিশ্রমিকের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ডাবিংয়ে অংশ নিইনি বলে নাকি আমাকে প্রাপ্য মজুরি দেয়া হয়নি। যদি এটিই হয়, তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীই নিজ কণ্ঠ নিয়ে ছবিতে আসেন না। তাই বলে কি তাদের পারিশ্রমিক দেয়া হয় না?— প্রশ্ন রাখেন প্রসূন। ২০১৪ সালে এসেও চলচ্চিত্রের কোনো অভিনয় শিল্পীকে প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হতে হয়, ভাবতেই অবাক লাগে। আমার কাছে চুক্তিপত্র থাকলে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নিতাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *