ফ্রান্সে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাবিশ্ব

 

 

xfull_1335285486_1492848710.jpg.pagespeed.ic_.IwmIrpaXt9

 

 

 

 

মোট ১১ জন প্রার্থী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এদের মধ্যে কট্টর-ডানপন্থি প্রার্থী মারিন ল্য পেনের জয়ের সম্ভাবনা আছে বলে জনমত জরিপগুলোর ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবগুলো জনমত জরিপে চারজন প্রার্থী পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বলে দেখা গেছে, তবে এদের কেউই নিরঙ্কুশ জয় পাবেন না বলে জরিপে আভাস পাওয়া গেছে। ৭ মে-র রান-অফ ভোটের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রথম দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম কট্টর-ডানপন্থি দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এফএন) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাদের প্রার্থী ল্য পেনের সঙ্গে মধ্যপন্থি প্রার্থী এমানুয়েল মাক্রোঁর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা জনমত জরিপগুলোর ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। মধ্য-ডানপন্থি রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ আগে জনমত জরিপগুলোতে এগিয়ে থাকলেও সরকারি তহবিল তছরুপের অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকায় পিছিয়ে পড়েন, তবে এখনও এগিয়ে থাকা প্রথম চার প্রার্থীর অন্যতম তিনি। এগিয়ে থাকা চার প্রার্থীর অপরজন কট্টর-বামপন্থি প্রার্থী জঁ লুক মেলাঁশোঁ, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিকে তার প্রতি জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হননি। সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দের জনপ্রিয়তা তলানিতে নেমে যাওয়াই-এর কারণ। সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোর ফলাফলে প্রকাশ পেয়েছে, মারিন ল্য পেন (৪৮) ও এমানুয়েল মাক্রোঁর (৩৯) মধ্যে রান-অফ ভোট হলে মাক্রোঁ জয়ী হবেন, আর তা হলে ফ্রান্সের সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন তিনি। জয়ী প্রার্থী আগামী ১৪ মে-র মধ্যে প্রেসিডেন্ট অলন্দের কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। বেশ কিছু কারণে ফ্রান্সের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আন্তর্জাতিক মহলে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, এর আগে কখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এত অনিশ্চয়তা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভবিষ্যত্ এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে। ল্য পেনের মতো ইইউ-বিরোধী ও জোটের একক মুদ্রা ইউরো-বিরোধী নেত্রী ক্ষমতায় এলে ইইউর ভবিষ্যত্ অনিশ্চিতার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *