ঠাকুরগাঁওয়ে মোটর পরিবহন শ্রমিক লীগের হাতে আহত হয়ে মৃত্যুমুখে পৌর কর্মচারী

Slider রংপুর সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

Screenshot_20170412-161756

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন স্থানে পৌরসভার জমির উপর শ্রমিকদের অনেক ঘর রয়েছে। সেগুলোকে উচ্ছেদ করতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনালে পৌরসভার পক্ষে শ্রমিকদের অবৈধ একটি ঘর উচ্ছেদ করতে গেলে মোটর পরিবহন শ্রমিক লীগ কর্মীদের হাতে গুরুতর হামলার শিকার হয়েছেন পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার মো. মনসুর আলী মনু (৫০)।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে তৎক্ষণাৎ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে দেয়।

Screenshot_20170412-161804

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে মো. মনসুর আলী মনুসহ পৌরসভার ৪ জন কর্মী ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনালস্থ অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করতে গেলে মোটর পরিবহন শ্রমিক লীগের লোকজন তাকে বাধা দেয়। এ সময় পৌরসভার পরিষ্কার পরিছন্ন সুপার ভাইজার মো. মনসুর আলী মনুর ওপর তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। তাকে ফাঁসাতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে পৌর কর্মচারী মনুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।

খবর পেয়ে পৌরমেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মির্জা ফয়সাল আমীন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে শ্রমিকদের রোষানলের স্বীকার হন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মেয়রকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

আহত মো. মনসুর আলী মনু জানান, হামলার সময় আমি আইন ও মেয়রের কথা বললে করে তারা প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এসময় তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে জোর করে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে মোবাইলে ভিডিও চালু করে চড়-থাপ্পড় দেয় আর মেয়রের নামে গালাগাল করে।

পৌর মেয়র র্মিজা ফয়সাল আমিন জানান, পৌরসভার জমিতে স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ কাজ। তাদেরকে উচ্ছেদ করতে গেলে তারা পৌর কর্মচারীর ওপর হামলা চালিয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, মোটর পরিবহন শ্রমিক লীগ নামে কোন সংগঠন আমাদের নেই। কেউ থেকে থাকলে তারা অবৈধ। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের তাদের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়া অবস্থায় উদ্ধার করি। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *