টঙ্গী করেসপন্ডেন্ট: বেসিক ব্যাংক গুলশান শাখায় আট কোটি টাকার একটি চেক জালিয়াতির মামলায় সাভারে অবস্থিত ওশান এন্ড ডিজাইন বিডি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.এম ওবায়েদ ও চেয়ারম্যান ড. এ.কে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ঈদুল আযহার আগের দিন ড. এ.কে এম ফজলুল হককে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পরে প্রভাবশালী মহলের চাপে থানা থেকেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মামলার বাদী আলমগীর কবির জানান, তিনি ওশান গ্র“পের চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে আট কোটি টাকার চেক ডিস অনার মামলা নং-১৩৫২/১৩ করলে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই মধ্যে গত ঈদুল আযহার আগের দিন রাতে ড. এ.কে এম ফজলুল হককে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পরে প্রভাবশালী মহলের চাপে মামলার বাদী আলমগীর কবিরকেও অন্যায়ভাবে থানা হাজতে আটকে রেখে আপোস মীমাংসার জন্য চাপ দেয়া হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে উভয়কে ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে ফজলুল হক বিদেশে পালিয়ে যান। মামলার উভয় আসামী পলাতক থাকায় অবশেষে আদালত গত ২৮ অক্টোবর তাদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের পরোয়ানা জারি করেন। এদিকে ক্রোটি পরোয়ানা জারির পর বাদিকে প্রাণ নাশের হুমকি এবং প্রত্যেক থানায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আসামীদের এসব হুমকিতে তিনি বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী আলমগীরের টঙ্গীর সাতাইশ মৌজার জমি বেসিক ব্যাংক গুলশান শাখায় তৃতীয় পক্ষ মর্ডগেজ চুক্তির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে মোটা অংকের লোন নিয়েও মামলার আসামীরা প্রতারণার আশ্রয় নেন বলেও আলমগীর অভিযোগ করেন।