শ্রীপুরে কলেজছাত্রীসহ আহত ৬

Slider গ্রাম বাংলা

স

 

 

 

 

 

 

 

রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি; গাজীপুরের শ্রীপুরে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামে নিরীহ গ্রামবাসীর উপর লাঠিচার্জ করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে কলেজছাত্রীসহ ৬জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, জেসমিন আক্তার (৩৫), মমতাজ বেগম (৬০),রাহিমা (৪০), মিজানুর রহমান খান কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানা (১৮), শাহনাজ (২২) ও শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রাকিব (১৫)।

আহতদের মধ্যে কলেজ ছাত্রী সুলতানা আক্তার ও তার বোন শাহনাজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত জেসমিন আক্তার জানান, স্থানীয় বিজি বেড কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের বসতবাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যুতের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন বসানোর চেষ্টা করে আসছিল। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন স্থাপনে আমাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে বিধায় আমরা বাধা প্রদান করে আসছিলাম। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬০) কে আটক করে নিয়ে যায় শ্রীপুর থানা পুলিশ। স্থানীয় সাইজ উদ্দিন প্রধানের ছেলে সাবেক ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মোস্তফা কামাল, তার ভাই মোফাজ্জল হোসেন,ভাড়া করা লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ভাংনাহাটি গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলী ছেলে গিয়াস উদ্দিন জানান, পুলিশের মারধরের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করলে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক ওই মুঠোফোনটি জোর পুর্বক কেড়ে নেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক জানান, পল্লী বিদ্যুতের কাজে বাধা দেয়ায় তাদের বুঝানো হয়েছে। মারামারি কোন ঘটনা ঘটেনি। মুঠোফোনটি কেড়ে নেয়া হলেও পরে আমার তত্ত্বাবধানে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিজি বেড কারখানার জেনারেল ম্যানেজার জামান জানান,কারখানার প্রয়োজনে পল্লী বিদ্যুত থেকে এ লাইনটি অনুমোদন করা হয়েছে। আমাদের কারখানার কোন শ্রমিক মারধরে যায়নি। সেখানে পুলিশ ছিল, পুলিশই ব্যাপারটি ভাল বলতে পারবে।

এব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, জমির প্রকৃত মালিক বাধা না দেয়ার পরও মহিলারা কেন বাধা দিচ্ছে সেটিই এখন প্রশ্ন। তবে সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *