তিস্তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক নয়, খসড়া চুক্তি হতে পারে

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

 

58117_lead
ঢাকা; তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা চূড়ান্ত কোনো চুক্তি নয়, বরং একটি খসড়ায় সম্মত হতে পারে বাংলাদেশ ও ভারত। বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির দিকে যেতে পারে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমস।
এ পত্রিকার সাংবাদিক দিপাঞ্জন রায় চৌধুরীর লেখা এ বিষয়ক প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘ড্রাফট পেপার অন তিস্তা ডিল লাইকলি ডিউরিং শেখ হাসিনা’জ ভিজিট’। এতে বলা হয়েছে, পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা এখনও অমীমাংসিত। এ অবস্থায় নয়া দিল্লির কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা চূড়ান্ত কোনো চুক্তি সম্পন্ন না-ও হতে পারে। ৮ই এপ্রিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এদিন এ বিষয়ে একটি খসড়ায় সম্মতি জানাতে পারেন তারা। এই তিস্তা নদীটির উৎপত্তি সিকিমে। তারপর এটি প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। পরে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পতিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ নদীর পানি বণ্টন নিয়ে খসড়ায় সম্মতি জানালে পরবর্তী পর্যায়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে, তা একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির দিকে যেতে পারে। শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর নিয়ে আশাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে অগ্রগতি হবে। তিস্তা নদীটি প্রবাহিত হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভেতর দিয়ে। এ জন্য এ নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি একটি মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি এ চুক্তির বিরোধিতা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার যুক্তি, এ চুক্তি হলে তার রাজ্য পানি থেকে বঞ্চিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার উভয়েই বিষয়টি নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করছে। এরই মধ্যে ইঙ্গিত মিলেছে, নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে থাকার কথা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের অন্য চারটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিটি ঝুলে আছে। বিশেষ করে এ চুক্তিতে মমতার কঠোর বিরোধিতা এর প্রধান কারণ। তবে ভারত বলছে, তারা এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজি করাতে কাজ করে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *