শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে খিলগাঁওয়ের ওই ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেলে করে তল্লাশিচৌকির কাছাকাছি আসেন। এ সময় র্যাব সদস্যরা তাঁকে থামতে বলেন। কিন্তু তিনি নির্দেশ অমান্য করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে গুলি করেন র্যাব সদস্যরা। এতে সেখানেই পড়ে যান তিনি।
এটা র্যাবের নিয়মিত তল্লাশিচৌকি কি না, তা জানতে চাইলে র্যাব অধিনায়ক বলেন, নির্জন জায়গা হওয়ায় এখানে অসাধু লোকজন যাতায়াত করে। এ কারণে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়।
ওই ঘটনায় গতকাল রাতে র্যাব-৩-এর উপসহকারী পরিচালক কাজী হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিহত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বলা হয়, শনিবার ভোরে পৌনে চারটার দিকে খিলগাঁওয়ের শেখের জায়গা এলাকায় তাঁরা তল্লাশিচৌকি বসান। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে পূর্ব দিক থেকে দুটি মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে আসতে থাকে। প্রথম মোটরসাইকেলটি তল্লাশিচৌকিতে এলে কনস্টেবল হাফিজুর রহমান ওই আরোহীকে চ্যালেঞ্জ করে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেপরোয়া চালক না থেমে কনস্টেবল হাফিজুরকে মোটরসাইকেল দিয়ে সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তখন সিপাহি খাদেমুল ইসলাম এগিয়ে গেলে তাকেও ধাক্কা ও কিল ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী বাহনটি ফেলে দিয়ে নিজের সঙ্গে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে বোমাসদৃশ বস্তু র্যাবের দিকে নিক্ষেপের চেষ্টা করে। র্যাবের সদস্যরা তখন আত্মরক্ষার্থে ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজেদের অস্ত্র থেকে মোট আটটি গুলি করে। এতে লোকটি জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহী তল্লাশিচৌকির দিকে না এসে মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে পালিয়ে যায়। তার কোমরের বেল্টে ও মুখ খোলা ব্যাগের ভেতরে বোমাসদৃশ বস্তু দেখে র্যাব সদস্যরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখে। পরে তার বেল্ট থেকে একটি ও ব্যাগ থেকে চারটি স্কচটেপ মোড়ানো উচ্চক্ষমতার বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে পুলিশের খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাতেই মামলা হয়েছে। মামলাটি এখনো তদন্ত করছে থানার পুলিশ।