রাজধানী ঢাকায় র্যাব সদর দপ্তরের ফোর্সেস ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে র্যাব বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজমের ভাষ্য, মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
গতকাল শুক্রবার বেলা একটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে র্যাব সদর দপ্তরের ফোর্সেস ব্যারাকে হামলার ঘটনা ঘটে। বিকট বিস্ফোরণে আশপাশ কেঁপে ওঠে, হামলাকারীর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে রক্ত-মাংস সীমানাদেয়ালের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার পরে দেশের সব বিমানবন্দর ও কারাগারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে র্যাবের সব স্থাপনায় বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) র্যাবের ব্যারাকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটে বিভিন্ন দেশের জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করে থাকে। গতকাল সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়, আইএসের সংবাদমাধ্যম আমাক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র এবং আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এর আগেও বাংলাদেশে বিভিন্ন হামলার ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করেছিল। কিন্তু এর কোনো ভিত্তি নেই। এ দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।
র্যাবের ব্যারাকে হামলার আগের দিন গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে শিশুসন্তানসহ জঙ্গি দম্পতি নিহত হন। ওই অভিযানে আরও দুই জঙ্গি নিহত হন। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর আশকোনায় এক জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের সময় এক নারী আত্মঘাতী হন। ওই জঙ্গি আস্তানা গতকালের ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই দুটি ঘটনায় নিহত ও গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য বলে তখন পুলিশ জানিয়েছিল। এর আগে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলার পর জেএমবি গাজীপুরের আইনজীবী সমিতি ও চট্টগ্রামের আদালতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল।