এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দুই কিশোরীর বাবার দায়ের করা অপহরণের পর ধর্ষণের মামলার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক একজনের খোঁজ চলছে। অপহরণে জড়িত আরও সাতজনকে খুঁজছে পুলিশ। স্থানীয় এক হাসপাতালে দুই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে মদ বিক্রির অভিযোগে এলাকার কুমাত বারিয়ার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ভাই। এতে কুমাতের ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন কুমাত। এরপরই এ ঘটনা ঘটল।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন দেবগড়ে তাঁর দোকানে ছিলেন ওই বাবা। তারা দুই বোনও তখন তাঁর সঙ্গে দোকানেই ছিল। হঠাৎ ১৩ জনের একটি দল নিয়ে কুমাত বারিয়া নামের এই ব্যক্তি তাঁর দোকানে আসেন। এরপর তিনজনকেই একটি বিলাসবহুল গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই গাড়িতে ছিল ছয়জন। অন্যরা মোটরসাইকেলে করে গাড়িটিকে অনুসরণ করছিল। চলন্ত গাড়িতে বাবার চোখের সামনেই দুই মেয়েকে একে একে ছয়জন ধর্ষণ করে। এ সময় অন্যরা তাদের হাত-মুখ শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছিল। ২৫ কিলোমিটার দূরের একটি জায়গায় তাদের গাড়িতে থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
দাহুদ পুলিশ বলছে, অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।